সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

স্বাধীনতা কারও দান নয় : স্পিকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাধীনতা কারও দান নয় : স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাঙালি জাতি ভাষা ও স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছে যা বিশ্বে বিরল। আমাদের স্বাধীনতা আমরাই অর্জন করেছি। এ স্বাধীনতা কোনো অনুকম্পা কিংবা কারও দান নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য উপহার। স্পিকার আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশে সমগ্র বিশ্বে এক উন্নয়নের বিস্ময়। ডেভেলপমেন্ট মিরাকল হিসেবে আজ বিশ্বে পরিচিত। আজকে আর আমরা দরিদ্র দেশ, বন্যাকবলিত দেশ হিসেবে পরিচিত নই। আমরা অনেক ক্ষেত্রেই বিশ্বের রোল মডেল। মুজিববর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে প্রেস ক্লাবের তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে ক্লাব ভবনের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা মনজুরুল আহসান বুলবুল, ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শাহেদ চৌধুরী, সেমিনার উপকমিটির আহ্বায়ক আইয়ুব ভূঁইয়া প্রমুখ। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, সিনিয়র সহসভাপতি হাসান হাফিজসহ প্রবীণ ও নবীন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাঙালি নিজের আত্মপরিচয়, নিজের দেশের স্বাধীনতার জন্য যে ইতিহাস রচনা করেছে তা বিশ্বে বিরল। বাংলাদেশের ৫০ বছরের পথ চলায় সবচেয়ে বড় যে আঘাত এসেছে তা হলো ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা। এই হত্যাকাণ্ড ছিল বাঙালির গৌরবময় ইতিহাসের ধারাকে উল্টো পথে পরিচালিত করা। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির অস্তিত্বকে হুমকির সম্মুখীন করা হয়েছে। এদেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু করা হয়েছিল। মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিএনপি মহসচিব মির্জা ফখরুল শিশু মুক্তিযোদ্ধা আবিষ্কার করেছেন। দেশে শিশু মুক্তিযোদ্ধা আছে এটা প্রথমবার শুনলাম। এটা কাল্পনিক। ইতিহাসে এমন কোনো তথ্য নেই। এসব আবিষ্কার অসত্য মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। তিনি স্বেচ্ছায় পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে ক্যান্টনমেন্টে আরাম আয়েশে কাটিয়েছেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তারাই, যারা নির্যাতিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান বীরত্বের যে পদক পেয়েছিলেন, তা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। পরে ক্ষমা চেয়ে তিনি সে পদক ফেরত পেয়েছিলেন। ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাব গণতন্ত্রের সূতিকাগার। সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সংগ্রামে এবং স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে প্রেস ক্লাবের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রেস ক্লাবে আসতেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে পরামর্শ করতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামের সময় প্রেস ক্লাবে এসেছেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর