বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ওপর দেশের মানুষ বিরক্ত। দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সারা দেশে চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি কোথাও অংশ নেয়নি। এর পরও সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিজেরা নিজেরা কী পরিমাণ সন্ত্রাস করেছে, কী পরিমাণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। নৌকা প্রতীকের প্রতি মানুষের এত বিতৃষ্ণা যে, স্থানীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই বেশি পাস করেছে। দেশে গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনী ধারা ফিরিয়ে আনতে ছাত্র ও যুব সমাজকেই সবার আগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মানবাধিকার ইস্যু এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ আহ্বান জানান। সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টার এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের নেতা এম সরোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিএনপির ভাইসচেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন ও সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ রিসার্চ সেন্টারের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। ড. মোশাররফ বলেন, বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের ভাবমূর্তি বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সম্মানের, উচ্চমানের। কিন্তু আজকের বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও ঘৃণার পাত্র, একটি স্বৈরশাসকের দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্য এবং দুঃখজনক।
তিনি বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থায় ছাত্র-যুবকদের সবচেয়ে বেশি সোচ্চার থাকার কথা ছিল। সব অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম যারা সামনে আসে তারা-ই ছাত্র ও যুবক সমাজ। এটা সারা বিশ্বসহ আমাদের বাংলাদেশেরও ইতিহাস। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, আজ এতকিছু ঘটে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের ছাত্র-যুব সমাজ নিশ্চুপ, এটা আশ্চর্যের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষা ছিল বাংলাদেশ হবে একটি গণতান্ত্রিক দেশ।
আর্থ-সামাজিক সবকিছুতে সাম্য প্রতিষ্ঠা হবে। স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার থাকবে। কিন্তু আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এ আকাক্সক্ষাগুলো পূরণ করেছি বলে জোর গলায় দাবি করতে পারছি না। তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে গণতন্ত্র আসবে না, সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থা আসবে না। অতএব, আমাদের সামনে একটাই টার্গেট, যে যেখানেই থাকি না কেন বিশেষত ছাত্র-যুব সমাজকে দেশের বর্তমান অবস্থাটা বুঝে এগিয়ে আসতে হবে। এ সরকারের কাছ থেকে দেশকে মুক্ত করতে না পারলে জনগণের মুক্তিও হবে না।