আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের সামনে দাঁড়ানোর সাহস এবং বলার মতো কিছু বিএনপির নেই। তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যান আর আন্দোলনে চরম ব্যর্থতাই বিএনপির একমাত্র প্রাপ্তি। গতকাল তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিগত এক যুগের বেশি সময় ধরে সরকার পতন আন্দোলনে ব্যর্থতা এবং সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে ওয়ার্ম আপ চলছে, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কোনো ওয়ার্ম আপেই কাজ হবে না, নেতিবাচক এবং হঠকারী রাজনীতির কারণে জনগণ বিএনপিকে চিনে ফেলেছে। যাদের পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে তারা আবার সরকার পতনের দিবাস্বপ্ন দেখছে। তারা ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নেয়নি। ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে বলেন, সরকার পতন, আন্দোলন এসব মুখরোচক শব্দবৃষ্টি করে কোনো লাভ নেই। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্যালটের মাধ্যম আর নির্বাচন ছাড়া পরিবর্তনের কোনো বিকল্প নেই। এ সময় অলিগলি পথে না হেঁটে নির্বাচনমুখী হওয়ার জন্য বিএনপি নেতাদের আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। ‘সরকার স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, মানুষের অধিকার হরণ করেছে’- বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি নেতারা যখন এসব কথা বলেন তখনো স্বাধীনতাবিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী তাদের সঙ্গী।
তিনি আরও বলেন, দেশবিরোধী সব অপশক্তির অভিন্ন প্ল্যাটফরম হচ্ছে বিএনপি। যারা নিজেরাই স্বাধীনতার চেতনা নস্যাতে জন্মলগ্ন থেকে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা এসেছে, আওয়ামী লীগই এর সুরক্ষা দিতে পারে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এ দেশে ভোটারবিহীন নির্বাচন করে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল, হরণ করেছিল কৃষক-শ্রমিকের অধিকার। ভোট না দেওয়ার অভিযোগে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চালিয়েছিল, আগুনসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষের স্বাধীন চলাচলের অধিকার হরণ করেছিল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন, এগিয়ে নিয়েছেন দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে। এজন্যই সরকারের উন্নয়নের রাজনীতিতে বিএনপি ঈর্ষাকাতর।
