জাতীয় সংসদে পাস হওয়া বহুল আলোচিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন আমরা মানি না। এই আইন শুধু আমাদের কাছে নয়, সারা দেশের কোনো মানুষের কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচন কমিশন আইন করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাকশাল গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের পরিচালনায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আহ্বায়ক আবদুস সালাম, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনের প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা আবার বাকশালে ঢুকতে চাই না। সরকারকে আমরা বলেছি- পদত্যাগ করুন। পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। সেই কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবে। আন্দোলনে এমন কর্মসূচি দিতে হবে যাতে জনগণ রাজপথে নেমে এসে এ সরকারকে বিদায় করে দেয়। শিক্ষামন্ত্রীর দুর্নীতির খবরের উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকের পত্রিকায় বেরিয়েছে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির দুর্নীতির খবর। জমির দাম ২০ গুণ বাড়িয়ে ৩৬৫ কোটি টাকা করা হয়েছে। ডিসি (জেলা প্রশাসক) সেটা বলেছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। বিষয়টার সুষ্ঠু তদন্ত করে জনগণের সামনে প্রকাশ করা হোক।