সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

বিএনপি অফিসের সামনে ছাত্রদল পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ২০ আটক ২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সন্ধ্যার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশসহ ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সেখান থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনুসহ ছাত্রদলের অন্তত ২৫ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়া দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। রাত ৯টার পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করে বলেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ এই আক্রমণ চালিয়েছে। বিএনপিকে কীভাবে ধ্বংস করা যায় সেভাবেই পুলিশকে সাজানো হয়েছে। এ হামলা পরিকল্পিত এবং আওয়ামী সরকারের চিরচেনা রূপ। বাংলাদেশ যে এখন একটা পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, সেটি বোঝাতেই কিছুদিন পর পর এ ধরনের হামলা চালানো হয়। তবে এভাবে আর বেশি দিন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।

ঘটনার পর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম এ বিষয়ে বলেন, ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম মজনুসহ ২৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এ সম্পর্কে বলেন, রাজধানীর রূপনগর থানায় ছাত্রদলের কর্মিসভায় স্থানীয় ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ও পুলিশ হামলা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড়ের কাছে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রদলের ১০-১২ জন নেতা-কর্মী আহত হন। সেখান থেকে আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ বাধা দিলে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় রাস্তায় পড়ে গিয়ে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) সামান্য আহত হয়েছেন।

 সংঘর্ষের পর রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। এ সময় পুলিশ কার্যালয়ের সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই আটক করে নিয়ে গেছে।

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আবদুল আহাদ এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান, বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এরই মধ্যে রফিকুল আলম মজনুসহ ১০-১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন বলেন, ছাত্রদল কর্মীরা আকস্মিকভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর