সোমবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

প্রকাশ হবে প্রস্তাবিত সব নামই

বিএনপিসহ দলগুলোর জন্য আজ বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময় । ধ্বংস হওয়া কমিশন টেনে তোলার মতো মানুষ দরকার : সাখাওয়াত । সুনাম অধিকারী ব্যক্তির মানদন্ড কী হবে : বদিউল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বাছাইয়ে সার্চ কমিটির কাছে আসা সব নামই প্রকাশ করা হবে। আজ সন্ধ্যা ৬টার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হবে এসব নাম। তবে প্রস্তাবকারী দল, সংগঠন বা ব্যক্তির নাম প্রকাশ না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সার্চ কমিটি। বিএনপিসহ যেসব দল এখনো নাম জমা দেয়নি, তাদের জন্য আজ বিকাল ৫টা পর্যন্ত সুযোগ রাখা হয়েছে নাম জমা দেওয়ার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তারা তাদের প্রস্তাব জমা দিতে পারবে। গতকাল বিশিষ্টজনদের সঙ্গে সার্চ কমিটির তৃতীয় দফার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান সার্চ কমিটির সাচিবিক দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। আগামীকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটায় সার্চ কমিটি আবারও বৈঠকে বসবে বলে জানান তিনি।

সার্চ কমিটির সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বর্তমানে নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংসের মুখে চলে গেছে। এ অবস্থা থেকে টেনে তোলার সক্ষমতা রয়েছে, এমন ব্যক্তিকেই আনতে হবে নির্বাচন কমিশনে। ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেছেন, আসলে কেউ নিরপেক্ষ নয়। আমরা চেয়েছি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে আইনে থাকা সুনাম অধিকারী ব্যক্তির মানদন্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের জাজেস কনফারেন্স রুমে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে তৃতীয় দফা বৈঠক করে সার্চ কমিটি। বিকাল সোয়া ৪টায় শুরু হয়ে প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা চলে এ বৈঠক। বৈঠকে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. কর্নেল (অব.) সাজ্জাদ আলী জহির, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবাল, সাবেক এডিশনাল আইজিপি নুরুল আলম, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের গোলাম কুদ্দুস, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, গীতিকার ও সুরকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, পিকেএসএফ-এর সাবেক চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রদূত অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক কবির চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ড. আইনুন নিশাত, প্রজন্ম একাত্তরের আসিফ মুনির তন্ময় ও ডা. নুজহাত চৌধুরী। গতকালের বৈঠকে ২৩ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও এতে ১৮ জন অংশ নেন। এর আগে শনিবার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আরও দুই দফা বৈঠক করেছে সার্চ কমিটি।

প্রকাশ করা হবে সব নাম : মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন পেশাজীবী এবং সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আমাদের শেষ বৈঠক ছিল। গতকালও (শনিবার) আমরা দুই দফা বৈঠক করেছি। সেসময় ড. জাফরুল্লাহ সাহেবসহ অনেকেই প্রস্তাব করেছিলেন, যেসব রাজনৈতিক দল নাম দেয়নি, তাদের আবারও সুযোগ দেওয়া যায় কি না। আজকেও কয়েকজন বলেছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে- শুধু যে রাজনৈতিক দলগুলো নাম প্রস্তাব করেনি, তারা আগামীকাল (আজ) বিকাল ৫টা পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নাম দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’

তিনি বলেন, ‘সার্চ কমিটির কাছে আসা নামগুলো প্রকাশের প্রস্তাব এসেছে বিশিষ্ট জনদের কাছ থেকে। তাই কমিটি যাদের নাম পাবে, সবই প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩২৯ জনের নাম আমরা পেয়েছি, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো থেকে ১৩৬ জনের নাম, পেশাজীবীদের থেকে ৪০ জনের, ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে এসেছে ৯৯ জনের, ব্যক্তিগত পর্যায়ের সরাসরি প্রস্তাব, নিজে নিজেকে ৩৪ এবং মতবিনিময় সভায় পেয়েছি ২০ জনের নাম। কাল সন্ধ্যা ৬টার পরে আমাদের মন্ত্রিপরিষদের ওয়েবসাইটে নামগুলো দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।’

কত তারিখের মধ্যে সার্চ কমিটি এই তালিকা চূড়ান্ত করবে তা জানতে চাওয়া হলে সচিব বলেন, ‘তালিকা ফাইনাল হওয়ার পরে মঙ্গলবার (কাল) আবারও মিটিংয়ে বসবে সার্চ কমিটি। সেখানে তালিকার বাকি সব ঠিক করা হবে।’

যা বললেন বিশিষ্টজনেরা : সার্চ কমিটির সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিশিষ্টজনরা। তারা যেসব প্রস্তাব দিয়েছেন তা তুলে ধরেছেন সাংবাদিকদের কাছে। বৈঠক থেকে বেরিয়ে ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি কোনো  প্রস্তাব দেইনি। আমি কতগুলো মত দিয়েছি। মতটি হলো- সার্চ কমিটি করুন, ৪০০ বা ৫০০ লোক বের করুন, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হচ্ছে আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। মানুষের কোনো বিশ্বাস নেই। এই বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে যে লোকগুলোর প্রয়োজন তাদের সার্চ করুন। যার দ্বারা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হবে সেই সাহস তারা রাখেন, সেই ধরনের লোক খুঁজে বের করুন।’

তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন যদি আগের মতো হয় আমরা বাংলাদেশিরা একটা বিপদের মধ্যে পড়তে যাচ্ছি। কাজেই রাজনীতির যত খেলাই হোক না কেন, নির্বাচন যতক্ষণ পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য না হবে দেশে এবং বিদেশে আমাদের সমস্যা আছে। এগুলো মাথায় রেখে কে কী নাম দিয়েছেন সেটা বড় কথা নয়। শেষ কথা বলেছি, নির্বাচন কমিশনে যারা আসবেন, তাদের মনে রাখতে হবে, তাদের অনুরাগে এই সংস্থাকে ধরতে হবে। এই সংস্থার যা করণীয় তাই করবেন।’ শতভাগ গ্রহণযোগ্য কোনো নির্বাচন হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন হতে হবে- যারা ভোট দিচ্ছে, ভোট দিতে পারছে বা ভোট দিতে পারবে, তাদের মতামতের যেন প্রতিফলন ঘটে।’ নাম প্রস্তাবকারী রাজনৈতিক দলের নাম প্রকাশ নিয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রস্তাবকারী দলের নামও প্রকাশ করা উচিত। তবে যতগুলো নাম দিয়েছে সব নাম প্রকাশ করা হোক। আর যদি স্বাধীন নির্বাচনের কথা বলেন তাহলে দলের প্রস্তাব নিতে আমার আপত্তি আছে। কোনো দলের প্রস্তাব আমি নিতে চাই না।’

অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব করেছি, যিনি নির্বাচন কমিশনার হবেন, তাকে অন্যান্য গুণাবলির সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ হতে হবে। আজকে যারা উপস্থিত ছিলেন, সবাই একবাক্যে এটিই বলেছেন। নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি যে পরিশ্রম করছে, এটি দেখেও আমরা খুশি হয়েছি। এই প্রথম আমাদের দেশে এত সুন্দর একটি প্রক্রিয়ায় কাজটা হচ্ছে।’

সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ দেশে এখনো স্বাধীনতাবিরোধী লোক আছে। তারা কি একজন স্বাধীনতার পক্ষের কোনো মানুষকে গ্রহণ করবে? কাজেই সর্বজনগ্রহণযোগ্য কথাটা একটু জটিল। আমরা সার্চ কমিটিকে বলেছি, আপনারা ভয় পাবেন না। আপনারা বিবেকের কাছে পরিষ্কার থাকেন। কে কী বলছে, সেটা নিয়ে আপনারা মাথা ঘামাবেন না। আমরা বলেছি, আপনারা এমন লোক বাছাই করুন, যারা নিজের বিবেকের কাছে ঠিক থাকবেন। তারা সাহসী থাকবেন, তারা কোনো ভয় পাবেন না। কোনো দলীয় চাপের মুখে নতি স্বীকার করবেন না, সেই ধরনের লোকই আমরা চাই।’

অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন চাইলেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এর সঙ্গে রাজনৈতিক দলসহ অনেক বিষয় জড়িত। সার্চ কমিটিকে এমন ব্যক্তি খুঁজে বের করতে হবে যিনি সৎ ও সাহস নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কোনো ব্যক্তি পাওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ছিলেন না। নিরপেক্ষ বলেও কোনো ব্যক্তি নেই। সব কিছু সার্চ কমিটির ওপর চাপিয়ে দিলে হবে না। মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী নন এমন কাউকেই কেউ চাইবেন না। আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কমিশন চেয়েছি। সেখানে আমলাতন্ত্র ও জুডিশিয়ারির যে ধারায় কমিশনে নিয়োগ দেওয়া হয় সেটি বাদ দিতে বলেছি। আমরা চাই কমিশনে সিভিল সোসাইটি এবং নারী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব থাকুক।

শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘সার্চ কমিটি মোটামুটি সব নামই প্রকাশ করবে, সেটা আমরা বলেছি। যিনি নির্বাচিত হবেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী হতে হবে। সংবিধানে বিশ্বাস করতে হবে। দুর্নীতি থেকে শুরু করে তার কোনো ফৌজদারি রেকর্ড থাকতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমরা সার্চ কমিটিকে বলেছি, আপনাদের খুঁজতে হবে সাহস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি দায়বদ্ধ। সেই ব্যক্তিদের আমরা দেখতে চাই, যার সেই মেরুদন্ড আছে, সাহস আছে। প্রধানমন্ত্রীও যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন তাহলে তাকে জবাবদিহির কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারবেন, এমন সাহসী ব্যক্তিদের আমরা নির্বাচন কমিশনে দেখতে চাই। আমরা প্রধানত নারী এবং সংখ্যালঘুদের ওপর জোর দিয়েছি। বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমার কতগুলো প্রশ্ন আছে, কতগুলো উদ্বেগ আছে, কতগুলো পরামর্শ আছে। পরামর্শে আমি বলেছি নামগুলো প্রকাশ করতে হবে তিনবার। এখন যে নামগুলো এসেছে, কোন দল কার নাম প্রস্তাব করেছে এগুলো প্রকাশ করতে হবে। কারণ এগুলো কোনো প্রোপাইটরি ইনফরমেশন নয়। আমি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলাম, সেখানে হাই কোর্ট রায় দিয়ে বলেছে, এগুলো কোনো প্রোপাইটরি ইনফরমেশন নয়। এগুলো প্রকাশ করতে হবে। আইনে বলা আছে, স্বচ্ছতার সঙ্গে সুনাম অধিকারী ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে। এখন প্রশ্ন হলো, এগুলোর মানদন্ড কী? এগুলো একমাত্র নির্ণায়ক হচ্ছে, এগুলো প্রকাশ করা এবং জনশ্রুতিই একমাত্র পথ। আমাদের মতামত অনেকেই জানেন। কিন্তু আমরা জানতে চাই, কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে এবং কী মানদন্ড অনুসরণ করবে। জাতি একটা সংকটের মধ্যে আছে। সংকট থেকে উত্তরণের জন্য এটি জানা দরকার। যাতে আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে পারি। একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ক্ষমতাসীন দল তাদের জোটের দলগুলো দিয়ে কতগুলো নাম প্রস্তাব করাবে। এভাবে কিন্তু তারা সমমনাদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিতে পেরেছে।

আমার প্রশ্ন হলো কীভাবে পেরেছে। তাহলে সার্চ কমিটি কী অনুসন্ধান করল। এখন যিনি সিইসি হলেন, তিনি জয়েন সেক্রেটারির উপরে ছিলেন না। তার ব্যাপারে অনেক রকম প্রশ্ন আছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা কোথায় ছিল। আমি বলেছি, এগুলো জানতে হবে, জানাতে হবে। স্বচ্ছতা এবং সুনাম সম্পন্ন ব্যক্তি। মানদন্ড চিহ্নিত করে এগুলো জানাতে হবে। তাহলে কেবল নাম প্রকাশ করলেই হবে না। কোন দল, প্রতিষ্ঠান কার নাম প্রস্তাব করল এটি আসা জরুরি, গুরুত্বপূর্ণ।

নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, যাদের নাম প্রস্তাব করা হবে তাদের অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের হতে হবে। এ জন্য ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভূমিকা কী ছিল, তিনি কোথায় ছিলেন এবং ৭৫-পরবর্তী ভূমিকাগুলো খতিয়ে দেখতে হবে। এটিই ছিল মূল কথা। এর সঙ্গে এটাও বলেছি- যাদের নাম প্রস্তাব করা হবে তারা যেন সৎ, সাহসী হন এবং প্রভাবমুক্ত নির্বাচন উপহার দিতে পারেন। আর কমিশনে যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় সেই প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, আমাদের প্রত্যাশা যাদের নাম প্রস্তাব করা হবে তারা আইন ও সংবিধান অনুযায়ী কাজ করবেন। সৎ, সাহসী ও দুর্নীতিমুক্ত হবেন এবং সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনা অর্থাৎ তাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করতে হবে। তারা যেন নিরপেক্ষ ব্যক্তি হন। এসব ব্যাপারে কোনো আপস নেই।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কমিটি দুটি বৈঠক করে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে প্রস্তাব নেওয়া, বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠকসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়। শুক্রবার প্রস্তাবিত নাম জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ৩২৯ জনের নাম জমা পড়ে সার্চ কমিটিতে। এর মধ্যে নিবন্ধিত দুই ডজন রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি ছয় পেশাজীবী সংগঠন প্রস্তাব করেছে নাম। এর বাইরে ব্যক্তিগত জীবনবৃত্তান্তও জমা পড়েছে অনেক।

সর্বশেষ খবর