শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

হয়রানি বাড়লেও যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ হবে

------ স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

হয়রানি বাড়লেও যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ হবে

রাজধানীতে যে কোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) পাশাপাশি সিটি করপোরেশনেরও অনুমোদন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এর ফলে জনগণের হয়রানি বাড়বে, ঘাটে ঘাটে ‘ঘুষ’ দিতে হবে এবং অনুমোদনের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে ঘুরতে সময় অপচয় হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর জবাবে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেছেন, হয়রানি বাড়লেও যত্রতত্র স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ হবে। বর্তমানে রাজধানীর ৯০ থেকে ৯৮ শতাংশ ভবন নির্মাণ হচ্ছে নিয়মবহির্ভূতভাবে। ফলে নানা ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। হয়রানি বাড়বে বলে তো আর এভাবে চিরদিন চলতে দেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে দুটি সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক. বর্তমানে যেভাবে যত্রতত্র নিয়মবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ হচ্ছে তা আরও বাড়তে দেওয়া। দুই. একাধিক কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূত ভবন নির্মাণ রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। আমরা কোনটি বেছে নেব সে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। রাজউকের জনবলের চেয়ে সিটি করপোরেশনের দেখভাল করার জনবল বেশি। তারা (সিটি করপোরেশন) জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারব। উন্নত বিশ্বেরও এ ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, রাজধানীতে যে কোনো ধরনের অবকাঠামো নির্মাণে রাজউকের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনেরও অনুমোদন নিতে হবে। তবে সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে গিয়ে যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়ে মেয়রদের সতর্ক থাকতে হবে। শুধু অনুমোদন দিলেই হবে না। অনুমোদিত স্থাপনা নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর