শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

জনভোগান্তি আরও বাড়বে

-------- ইকবাল হাবিব

জনভোগান্তি আরও বাড়বে

নগর পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেছেন, জনভোগান্তি নিরসনের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন রচনায় এ মুহূর্তে জাতি নিমগ্ন। এমনিতেই ইমারত নির্মাণের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় অনেক সংস্থার কর্তৃত্ব রয়েছে। এতে  মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এ প্রক্রিয়ায় নতুন করে সিটি করপোরেশনকে যুক্ত করলে এ ঝুট-ঝামেলায় আরেকটি নতুন দরজা তৈরি হবে। সিটি করপোরেশনও চাপ সামলাতে হিমশিম খাবে।

তিনি বলেন, দুটি কারণে জনবহুল এ শহরে ইতোমধ্যে সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে সিটি করপোরেশন। প্রথমত, অর্থনৈতিক অবস্থা শক্তিশালী নয়। দ্বিতীয়ত, কারিগরি দক্ষ লোকের খুবই অভাব। এমন অবস্থায় এ উপরি নিপীড়নমূলক কার্যক্রমটি তাদের ওপর চাপিয়ে দিলে জনভোগান্তি আরও বাড়বে। যদি ইমারত নির্মাণ বিধিমালার অধীনে বা বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী সিটি করপোরেশন বা জনগণের ভোটে নির্বাচিত কর্তৃত্বের মাধ্যমেই অনুমোদন প্রক্রিয়া করতে হয়, সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার অবলুপ্তি ঘটিয়ে তাদের অনুমোদনগুলো সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু রাজউক বা অন্যান্য সংস্থা জিইয়ে রেখে সিটি করপোরেশনকে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করলে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে, মতদ্বৈধতা বাড়বে, অনুমোদন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা বাড়বে। একই সঙ্গে এও দেখার বিষয় যে সিটি করপোরেশনের দক্ষতার ঘাটতি আছে। জনকেন্দ্রিক কার্যক্রম পরিচালনার মতো পর্যাপ্ত কারিগরি লোকবল তাদের নেই। আর্থিক সক্ষমতার ঘাটতি আছে। এখনই তারা জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এর মধ্যে নতুন করে ইমারত নির্মাণের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় তাদের যুক্ত করলে মানুষ ভীষণভাবে পর্যুদস্ত হবে। ইকবাল হাবিব বলেন, নিবর্তনমূলক কাজ থেকে সরে এসে বছরওয়ারি প্রতিটি সংস্থার কার্যক্রম যথাযথ আছে কি না সে পরীক্ষা-নিরীক্ষার দায়িত্বও আমরা সিটি করপোরেশনকে দিতে চাই। কিন্তু অন্যান্য সংস্থা জিইয়ে রেখে সিটি করপোরেশনের এ অধিকার যেন জনগণের ওপর না আসে তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ তাতে মানুষের হয়রানি বাড়বে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর