বাংলাদেশ ল্যান্ড ডেভেলপার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলডিএ) মহাসচিব মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন বলেছেন, রাজধানীতে ভবন নির্মাণের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় রাজউকের পর আবার সিটি করপোরেশনকে যুক্ত করলে সেটা খুবই অপরিণামদর্শী ও অবিবেচনাপ্রসূত একটা সিদ্ধান্ত হবে। সিটি করপোরেশন কোনোভাবেই এ ক্ষেত্রে দক্ষ নয়। এ বিষয়ে তাদের অতীত অভিজ্ঞতাও নেই। নেই দক্ষ ও প্রয়োজনীয় জনবল। ফলে ভবন নির্মাণের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় জটিলতা বাড়বে, যা আর্থিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রে অস্থিরতা তৈরি করবে।
গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ভবন নির্মাণে ছোটখাটো অনুমোদন বা আংশিক অভিজ্ঞতা সিটি করপোরেশনের হয়তো থাকতে পারে। কিন্তু ঘন জনবসতির এ মেগা শহরে যেখানে প্রতিদিনই নতুন নতুন আধুনিক স্থাপনা তৈরি হচ্ছে, সুউচ্চ বহুতল ভবন উঠছে, নির্মাণ খাতে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে সেখানে এ বিষয়গুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো দক্ষ ও প্রয়োজনীয়সংখ্যক জনবল তো সিটি করপোরেশনের নেই। ঢাকায় রাজউকের প্রায় ৫০ বছর লেগে গেছে সক্ষমতা অর্জন করতে, এখনো তাদের সক্ষমতা পুরোপুরি হয়নি। যেখানে রাজউকই ৫০ বছরে পুরোপুরি সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি সেখানে হঠাৎ করে আরেকটা সংস্থাকে এ অনুমোদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করলে মানুষের ভোগান্তি বাড়বে প্রচ-ভাবে। নানাভাবে হয়রানির শিকার হবে। এক দরজা থেকে আরেক দরজায় দৌড়াতে হবে। অর্থ ও সময়ের অপচয় বাড়বে। এটা আর্থিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রে একটা অস্থিরতা তৈরি করবে। কাজেই এ ধরনের সিদ্ধান্ত না নিয়ে রাজউককে আরও বেশি শক্তিশালী কীভাবে করা যায় তা ভাবাই যৌক্তিক হবে। রাজউককে সহযোগিতা করা উচিত যাতে তারা দক্ষ ও প্রয়োজনীয় জনবল পায়। তারা যাতে সঠিক ও স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা দরকার।
বিএলডিএ মহাসচিব বলেন, ঢাকা খুব দ্রুত বাড়ছে। জনভোগান্তি কমানোর পাশাপাশি আধুনিক ঢাকা গড়তে সরকার মেট্রোরেলসহ অনেক মেগা প্রকল্প নিয়েছে। পরিকল্পিত আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরাও চেষ্টা করছি সরকারের পাশে থেকে আধুনিক নগর গড়তে। সেখানে স্থাপনা নির্মাণের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় হয়রানি বাড়লে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। সাধারণ মানুষ থেকে আবাসন ব্যবসায়ী সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই নতুন সংস্থাকে যুক্ত না করে রাজউককে কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায় তা ভাবা দরকার।