রাজধানীর মতিঝিল থানায় করা ৬১৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা প্রতারণার মামলায় ভুয়া আসামি ধরা পড়েছেন। ফাহিম আহম্মেদ নামের ওই ব্যক্তি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার উত্তর বন্দর আনোয়ারা এলাকার ফিরোজ আহম্মেদের ছেলে। ফাহিম তার অফিসের মালিক মেসার্স নবাব অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী নবাব খানের বদলে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
শুনানির সময় আসামি সম্পর্কে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর সন্দেহ হয়। এ সময় বিচারক আসামির নাম-ঠিকানা জিজ্ঞেস করেন। তখন আসামি ঠিকভাবে উত্তর দিতে পারেননি। পরিচয়পত্র দেখাতে বললে তাও দেখাতে ব্যর্থ হন। এ ছাড়া আসামির অসংলগ্ন কথাবার্তায় বিচারক তাকে ভুয়া নবাব খান হিসেবে শনাক্ত করেন। পাশাপাশি আদালত সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে যাচাই করার নির্দেশ দেয়। পরে ভুয়া নবাব খানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সাংবাদিকদের জানান ঢাকার সিএমএম আদালতের নাজির মো. রেজোয়ান খন্দকার। এ ঘটনা জানাজানি হলে আদালতপাড়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স নবাব অ্যান্ড কোম্পানির স্বত্বাধিকারী নবাব খান বিসিআইসির গুদামে ইউরিয়া সার সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা রক্ষা করেননি। এতে রাষ্ট্রের স্বার্থ মারাত্মকভাবে ক্ষুণœ হয়েছে। কৃষক ইউরিয়া সারের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এর আগে বিসিআইসির গুদামে ইউরিয়া সার পৌঁছানোর জন্য আসামি নবাব খানকে বারবার বলা হলেও তিনি গুদামে সার সরবরাহ না করে প্রতারণার মাধ্যমে ৬১৯ কোটি ৯৮ লাখ ৪৯ হাজার ৪১৯ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ঘটনায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রির কর্পোরেশন (বিসিআইসি)-এর উপমহাব্যবস্থাপক সাইফুল আলম বাদী হয়ে ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৪১(১২)২১।