শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু

পুতিনের ঘোষণার পরই হামলা, আসছে হতাহতের খবর, ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা, বাইডেন-বরিসের হুঁশিয়ারি

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু

ট্যাংক নিয়ে ইউক্রেন সেনারা। ইউক্রেনের বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায় রাশিয়া বাহিনী -এএফপি ও সিজিটিএন

বহুল উত্তেজনার পর ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শুরু হয় এ হামলা। পরে ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থান থেকে হামলার খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থাগুলো। হামলায় ইউক্রেনের নাগরিকদের হতাহত হওয়ার খবর এসেছে, তবে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত এই সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলা প্রতিহত করতে পাল্টা জবাব দেওয়া শুরু করেছে ইউক্রেনও। দেশব্যাপী মার্শাল ল জারি করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নাগরিকদের অস্ত্র দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। যে কোনোভাবেই হোক ইউক্রেনের জয় হবে বলে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বলেছেন ইউক্রেনিয়ান প্রেসিডেন্ট। এর মাধ্যমে ইউরোপে একটি যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল মনে করছেন বিশ্লেষকরা। রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানায়, স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে এক টেলিভিশন ভাষণে ইউক্রেন অভিমুখে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। এ অভিযানে ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ এবং নাৎসিমুক্ত করা হবে বলে উল্লেখ করেন পুতিন। নির্দেশের পরপরই ইউক্রেনের দক্ষিণ-পশ্চিমে নেমে পড়ে রুশ প্যারাট্রুপাররা। একই সঙ্গে সকাল ৭টার দিকে রুশ সমর্থিত ইউক্রেনীয় বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের সেনা অবস্থানে হামলা চালায়। লুহানস্ক ও ডনেস্ক অঞ্চলের আশেপাশে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অবস্থানে এ হামলা চালানো হয়।  এ সময় ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী খারখিভ শহরে রুশ বাহিনী ঢুকে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা পর রাশিয়ার পদাতিক বাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে। এ ছাড়া ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দিয়েও রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ঢুকে পড়ে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক হামলায় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, কামান, বিমান হামলা করা হয়। সামরিক অবকাঠামো এবং সীমান্ত অবস্থান লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। তখন যেসব শহর থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায় তার মধ্যে রয়েছে- ওদেসা, মারুপোল, খারখিভ, ডিনিপ্রো এবং রাজধানী কিয়েভ। রাজধানী কিয়েভে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাওয়ার পর শহরটির মেয়র বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় নেওয়ার এবং ঘরে থাকার নির্দেশ দেন। শহরে অনবরত বাজতে থাকে বিমান হামলার সতর্কতামূলক সাইরেন। হামলার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কি দেশজুড়ে সামরিক আইন (মার্শাল ল) জারি করেছেন। ইউক্রেন বলেছে, তিন দিকের সীমান্ত দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। রাশিয়া, বেলারুশ ও ক্রিমিয়া সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশ করে রুশ সেনারা। কামান, ভারী সরঞ্জাম এবং ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে সীমান্ত ইউনিট, সীমান্ত টহল এবং চেকপয়েন্টগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। ইউক্রেনের সামরিক বিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের কথা জানিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিবৃতি দিয়ে বলেছে, প্রাথমিক আক্রমণে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর বেশ কিছু বিমান ঘাঁটির সামরিক অবকাঠামো অচল হয়ে যায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কিয়েভের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে রুশ সামরিক বাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনের সামরিক অবকাঠামো, বিমান প্রতিরক্ষা, সামরিক বিমান ঘাঁটি ও যুদ্ধবিমান নিষ্ক্রিয় করতে নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। রাশিয়ার স্পুৎনিক বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের আকাশ থেকে দুটি এসইউ-২৪ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে রুশ সেনারা। রাশিয়া আরও বলেছে, রুশ সেনাদের আক্রমণের মুখে ইউক্রেনীয় সেনারা অস্ত্র ফেলে দল বেঁধে পালিয়ে যাচ্ছে। তবে অস্ত্র সমর্পণ করা সেনাদের ওপর কোনো হামলা করা হচ্ছে না। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর সৈন্য ও সার্ভিস মেম্বাররা অস্ত্র ফেলে অবস্থান ত্যাগ করছে। যেসব ইউনিট অস্ত্র ফেলে দিচ্ছে, তাদের ওপর কোনো হামলা চালানো হচ্ছে না। এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনের যেসব সেনা অস্ত্র সমর্পণ করবে, তাদের নিরাপদে যুদ্ধ এলাকা থেকে সরে যেতে দেওয়া হবে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাশিয়ায় স্থলসেনারা কার্যত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইউক্রেনের রাস্তাগুলোয়। একের পর এক ট্যাঙ্ক, সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখা যাচ্ছে এসব রাস্তাঘাটে। বিবিসির খবরে বলা হয়, হামলার পরপরই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বাসিন্দাদের পালানোর খবর আসছে। ছবিতে দেখা যায় রাস্তায় যানবাহনের সারি। সবাই শহর ছাড়ার চেষ্টা করায় এক্সপ্রেসওয়েতে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাপ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসা বিভিন্ন পোস্ট ও ছবি দেশটির বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার সাক্ষ্য দিচ্ছে। অনেকে বলছেন, তারা বোমার হাত থেকে বাঁচতে বেজমেন্ট ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ছুটছেন। টেলিভিশনের ফুটেজে রাস্তায় দলবেঁধে লোকজনকে প্রার্থনা করতে দেখা গেছে। কয়েক ঘণ্টা পর ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী দাবি করে, ইউক্রেনে ঢোকার সময় অন্তত ৫০ জন রুশ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে এবং চারটি রুশ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাশিয়ার পাঁচটি বিমান ও একটি হেলিকপ্টার ভূপাতিত করার দাবিও করেছে দ্য জেনারেল স্টাফ অব দ্য ইউক্রেন আর্মড ফোর্স। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের পূর্বাঞ্চলীয় ঘাঁটি লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গোলাবর্ষণ করছে রাশিয়া। আর সেই হামলা প্রতিহত করে চলেছে ইউক্রেন বিমান বাহিনী। ইউক্রেন দাবি করে, রুশ গোলায় অন্তত আটজন নিহত এবং নয়জন আহত হয়েছেন। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজধানী কিয়েভের নিকটবর্তী এলাকা বরিসপিল ও বিভিন্ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। তবে এ বিবৃতিতে, দক্ষিণ অঞ্চলে রুশ প্যারাট্রুপের সদস্যরা প্রবেশ করার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। রুশ অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কি জাতির উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়েছেন। তিনি আবেগপূর্ণ ভাষণে হামলা বন্ধের জন্য রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি ইউক্রেন আত্মরক্ষা করবে বলেও ঘোষণা দেন তিনি। তিনি জানান, রাশিয়া পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে। ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ত্বরিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইউরোপ ও পৃথিবীর ভবিষ্যৎ ‘হুমকির মুখে’। তাই বিশ্বকে এখনই ‘তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ’ নিতে হবে। আন্তর্জাতিক লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করাসহ মস্কোর বিরুদ্ধে ‘বিধ্বংসী অবরোধ’ আরোপের আহ্বান জানিয়ে কুলেবা বলেছেন, বিশ্বের উচিত রাশিয়াকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে অস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং আর্থিক ও মানবিক সহায়তা দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মিত্ররা জবাব দেবে বললেন বাইডেন : ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে ‘বিনা উসকানিতে অন্যায্য হামলা’ হিসেবে বর্ণনা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, মিত্ররা এর জবাব দেবে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন একটি পরিকল্পিত যুদ্ধ শুরু করেছেন, যা মানুষের জীবনে ভয়াবহ বিপর্যয় আর দুর্দশা ডেকে আনবে। এ হামলা যে ধ্বংস ডেকে আনবে, যে প্রাণক্ষয়ের কারণ হবে, তার দায় পুরোপুরি রাশিয়াকেই বহন করতে হবে। সেজন্য বিশ্বের কাছে রাশিয়াকে জবাবদিহি করতে হবে। বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে আর কী কী ব্যবস্থা নেবে, সেই ঘোষণা আসছে।

যেসব কারণে রুশ হামলা : রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাতের নেপথ্যে মূল কারণ হিসেবে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো। ন্যাটোর আওতায় রয়েছে ৩০টি দেশ। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জার্মানি। আর এই গোষ্ঠীভুক্ত হওয়ার চেষ্টায় ছিল ইউক্রেন। এ ঘটনা নিয়েই মূলত দেশ দুটির মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়।

 

ইউক্রেন চাইছিল যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশগুলোর সঙ্গে তারাও ন্যাটোর আওতায় চলে আসুক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একই গোষ্ঠীতে প্রতিবেশী ইউক্রেনকে দেখতে নারাজ ছিল রাশিয়া। কারণ ন্যাটোভুক্ত যে কোনো দেশে বহিরাগত আক্রমণের ক্ষেত্রে বাকি সদস্য দেশগুলোর সহায়তা পাবে সংশ্লিষ্ট দেশ। সুতরাং রাশিয়ার প্রতিবেশী ইউক্রেন যদি ন্যাটোতে প্রবেশ করে, তাহলে তাকে সহায়তা করতে আসবে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো। আর এতেই ক্ষুব্ধ ছিল রাশিয়া। তাছাড়া ২০১৪ সালে রাশিয়া প্রথমবার ইউক্রেনে প্রবেশ করে। তখন প্রেসিডেন্ট পুতিন সমর্থিত বিদ্রোহীরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের বেশ বড় একটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর থেকেই তারা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে আসছে। তবে এই যুদ্ধ বন্ধে একটি আন্তর্জাতিক মিনস্ক শান্তি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু লড়াই তাতে থামেনি।

শুধু বিবৃতি দিয়ে দায় সারল ন্যাটো : রুশ হামলার পর ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল জেন স্টোলেনবার্গ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাশিয়ার বেপরোয়া ও বিনা উসকানিতে এমন হামলা অসংখ্য নিরপরাধ ও নিরস্ত্র বেসামরিক মানুষের জীবন ভয়াবহ ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।’

মানবিক কারণে পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধ করার অনুরোধ জাতিসংঘ মহাসচিবের : শেষ মুহূর্তের চেষ্টা হিসেবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে ‘মানবতার নামে’ যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ইউক্রেন নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি এক বৈঠকের পর তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন, মানবতার দোহাই, আপনার সেনাদের রাশিয়ায় ফিরিয়ে নিন। যুদ্ধ ইউক্রেনের জন্য ধ্বংসাত্মক পরিণতি নিয়ে আসবে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এর পরিণতি ?সুদূরপ্রসারী হবে বলেও সতর্ক করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

‘কঠোর নিষেধাজ্ঞা’ দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন : ইউক্রেনে ‘বর্বরোচিত’ হামলার জন্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘নতুন ও কঠোর’ নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ২৭ দেশের জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইইউ প্রধান উরসুলা ফন ডার লেইন বলেছেন, ইউরোপে যুদ্ধ ফেরানোর জন্য দায়ী প্রেসিডেন্ট পুতিন। ইইউ তাকে এর জন্য দায়ী করবে। রাশিয়ার প্রধান প্রযুক্তি খাত এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রগুলোকে নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমরা রাশিয়ার অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং তার আধুনিকীকরণের ক্ষমতা দুর্বল করব। আমরা ইইউতে রাশিয়ান সম্পদ জব্দ করব এবং ইউরোপের বাজারে রাশিয়ান ব্যাংকগুলোর প্রবেশ বন্ধ করব। ব্রিটিশ জুনিয়র পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলিও বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর যে নিষেধাজ্ঞা দেবে, তা হবে ‘নজিরবিহীন’। স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক বন্ধু এবং মিত্রদের সঙ্গে মিলিত হচ্ছি। রাশিয়ার ভয়ঙ্কর এই সিদ্ধান্তের শাস্তি হিসেবে অভূতপূর্ব ও সমন্বিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছি।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর