শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রীকে গণধর্ষণ সড়ক অবরোধ থানা ঘেরাও

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

ছাত্রীকে গণধর্ষণ সড়ক অবরোধ থানা ঘেরাও

সহপাঠীকে গণধর্ষণে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে গতকাল সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থীকে গোপালগঞ্জ আড়াই শ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে ধর্ষকদের গ্রেফতার দাবিতে গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষুব্ধ প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানা ঘেরাও এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা ধর্ষকদের বিচার চেয়ে তিন দফা দাবি ও আলটিমেটাম দেন। বিকাল পৌনে ৫টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতরা হামলা করে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আহত হন ১০ শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী তার এক বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার নবীনবাগ নামক স্থানের হেলিপ্যাডের সামনে থেকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে তাদের জোরপূর্বক একটি অটোতে তুলে নেয় ৭/৮ দুর্বৃত্ত। নিয়ে যাওয়া হয় গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজের নির্মাণাধীন ভবনে। সেখানে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় ওই শিক্ষার্থীকে। মারধর করা হয় তার সহপাঠীকে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, খবর পেয়ে বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছি। এদিকে ধর্ষকদের দ্রুত গ্রেফতার ও  শাস্তির দাবিতে গতকাল সকাল  থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঘোনাপাড়া নামক স্থানে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিকাল ৪টায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের সমঝোতা বৈঠক শেষ হয়। পৌনে ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সমঝোতা হওয়ার পরও মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে না নেওয়ায় তাদের ওপর বহিরাগতরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়েছে বলে একটি পক্ষ জানিয়েছে। এ সময় অন্তত ৮/১০ শিক্ষার্থী আহত হন।

 ভাঙচুর করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের গাড়ি, একটি বাস ও ট্রাক। গতকাল বিকাল পৌনে ৫টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ হামলায় ছাত্রলীগকে দায়ী করলেও এ ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নিউটন মোল্লা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জেলা ছাত্রলীগ একাত্মতা প্রকাশ করে ৫ ঘণ্টা আন্দোলন করেছে। প্রশাসনের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে সমঝোতা করিয়ে দিয়েছে। তারপর আন্দোলনকারীরা ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। আমি শুনেছি কিছু সংখ্যক জামায়াত, ডান বাম আন্দোলন থেকে সরে না আসায় তাদের স্থায়ীয়রা সরিয়ে দিয়েছে।

এর আগে বেলা আড়াইটায় জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, ভিসি একিউএম মাহাবুব, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সমঝোতা বৈঠক হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর