সোমবার, ২১ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

ব্যাটিং ব্যর্থতায় পরাজয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটগুলো হার্ড ও বাউন্সি। এমন উইকেটে মানিয়ে নিতে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে আলাদা অনুশীলন করেছে টাইগাররা। উইকেট বানানো হয়েছিল বাউন্সি। কিন্তু আন ইভেন ছিল না বগুড়ার উইকেট। জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্সের উইকেটের গতকালের আচরণ ছিল আন ইভেন। বল লাফিয়ে উঠেছে হঠাৎ হঠাৎ। টাইগার ব্যাটাররা এমন উইকেটে সাবলীল ছিলেন না। ৭৬ বল আগে ৭ উইকেটে হারের ব্যাখ্যায় উইকেটের আন ইভেন বাউন্সের কথাই বলেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল, ‘আমরা বাউন্সের জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু এমন আন ইভেন বাউন্সের জন্য নয়।’ প্রথম ম্যাচ ৩৮ রানে জিতে তামিম বাহিনী এগিয়ে গিয়েছিল সিরিজে। গতকাল জোহানেসবার্গে জিতে সমতা আনল দক্ষিণ আফ্রিকা। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ ২৩ মার্চ, বুধবার সেঞ্চুরিয়ানে।           

গতকাল ছিল টাইগার ওয়ানডে অধিনায়ক তামিমের ৩৩ তম জন্মদিন। টস জিতলেও ম্যাচ জয়ের আনন্দ করতে পারেননি তামিম। ব্যাটিং বিপর্যয়ে হেরেছেন। অথচ সেঞ্চুরিয়ানে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং- তিন বিভাগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জয় পেয়েছিল তামিম বাহিনী। সেঞ্চুরিয়ানের অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা দেখা যায়নি জোহানেসবার্গে। ওয়ান্ডারার্সের হার্ড ও বাউন্সি উইকেটে কাগিসো রাবাদার দুরন্ত বোলিংয়ে সাবলীল ছিলেন না টাইগাররা। সিনিয়র ক্রিকেটারদের ব্যর্থতাকে আড়াল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন দুই তরুণ আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনে সপ্তম উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রেকর্ড জুটি গড়েন। দুজনের রেকর্ড গড়া জুটিতে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৯৪ রান করে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে রাবাদা ও এনগিডির গতি ও বাউন্সে বেসামাল হয়ে ৩৪ রানে উপরের সারির ৫ ব্যাটারকে হারায় তামিম বাহিনী। আগের ম্যাচে ৪১ রান করা তামিম আউট হন মাত্র ১ রানে। সেঞ্চুরিয়ানে ৫০ রান করা লিটন সাজঘরে ফিরেন ১৫ রানে। প্রথম ওয়ানডের ম্যাচসেরা সাকিব ৬ বল উইকেটে থেকেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। আগের ম্যাচে করেছিলেন ৭৭ রান। মুশফিক করেন ১১ রান। ১৩ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে দল যখন কোণঠাসা, তখন টি-২০ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ জুটি গড়েন আফিফের সঙ্গে। দুজনে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৬০ রান। মাহমুদুল্লাহ ব্যক্তিগত ২৫ রানে শিকার হন রিস্ট স্পিনার শামসি তাবরিজের। এরপর ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন দুই তরুণ আফিফ ও মেহেদী মিরাজ। সপ্তম উইকেট জুটিতে দুজনে ১৮.২ ওভারে যোগ করেন ৮৬ রান। আফিফ ৭২ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন ১০৭ বলে ৯ চারে। মিরাজ ৩৮ রান করেন ৪৯ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায়। রাবাদা ৫ উইকেট নেন ৩৯ রানের খরচে। ১৯৫ রানের টার্গেটে প্রোটিয়াস দুই ওপেনার জানেমান মালান ও কুইন্টন ডি কক ৮৬ রানের ভিত দেন মাত্র ১২.৩ ওভারে। মালান ব্যক্তিগত ২৬ রানে বোল্ড হন মিরাজের বলে। ডি কক ৬২ রানে আউট হন সাকিবের বলে। তিনি ইনিংসটি খেলেন ৪১ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায়। দলীয় ৯৪ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকটে জুটিতে ৮২ রান যোগ করেন কাইলি ভেরেইন ও বাভুমা। বাভুমা ব্যক্তিগত ৩৭ রানে আউট হন আফিফের বলে। ভেরেইন ১১ নম্বর ওয়ানডেতে চার নম্বর হাফসেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে।

সর্বশেষ খবর