বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা
ডিসি পদে সাক্ষাৎকার ২৭ মার্চ

তালিকায় দুই ব্যাচের ৩০০ কর্মকর্তা

উবায়দুল্লাহ বাদল

জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে পদায়নের জন্য ফিটলিস্ট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এ পদে পদায়ন করতে প্রাথমিকভাবে বিসিএস ২৪ ও ২৫তম ব্যাচ থেকে ৩০০ কর্মকর্তার তালিকা তৈরি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ২৪তম ব্যাচের ১৭১ জন ও ২৫তম ব্যাচের ১২৯ জন কর্মকর্তা স্থান পেয়েছেন।

সোমবার প্রথম দফায় ১৭৫ জন কর্মকর্তার নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এসব কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার শুরু হবে আগামী ২৭ মার্চ। এ কার্যক্রম চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর আরও একটি তালিকায় অবশিষ্ট কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। সাক্ষাৎকার শেষে ডিসি পদে নিয়োগের জন্য তৈরি হবে ফিটলিস্ট। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে জেলা প্রশাসক পদে বিসিএস ২১তম ব্যাচের ১৪ জন, ২২ ব্যাচের ৩৪ জন এবং ২৪ ব্যাচের ১৬ জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে ২১ ব্যাচের অধিকাংশ কর্মকর্তার এ পদে কর্ম সময় দুই বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। এসব জেলায় শিগগিরই নতুন ডিসি পদায়ন করা হবে। নির্বাচনের আর দুই বছরেরও কম সময় বাকি রয়েছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নিয়োগ পেতে যাওয়া কর্মকর্তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময় দায়িত্ব পালন করবেন।

২৫তম ব্যাচের ১৩১ জন কর্মকর্তার ব্যাপারে সরেজমিন তদন্ত শেষ করেছে সংশ্লিষ্ট জেলার ডিসিরা। এর আগে ২৪ ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে তদন্ত করা হয়। সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন নিয়োগ ও পদোন্নতি শাখা থেকে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তদন্ত যাদের বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদন পাওয়া গেছে তাদের ডিসি ফিটলিস্টের সাক্ষাৎকারের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ফিটলিস্ট তৈরির ব্যাপারে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো খবর নিচ্ছিল। বিশেষ করে ব্যক্তি ও পরিবারকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি এবার খুব কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ছাত্রজীবনে কর্মকর্তারা কোন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সে বিষয়টিও সূক্ষ্মভাবে তদন্ত করা হয়েছে। নিরপেক্ষ অফিসাররা নিজেদের অবস্থান বদলাতে সময় নেন না। তাই তাদের ওপর ভরসা করতে চায় না সরকার। এবারের ডিসি ফিটলিস্টে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এবার ডিসি পদে নিয়োগের জন্য সাক্ষাৎকারে আমন্ত্রণ পাওয়া একাধিক কর্মকর্তা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মরত দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তাদের বিবেচনায় নেওয়া উচিত। গত কয়েক বছরের ডিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এ পদে জনপ্রশাসন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ মন্ত্রী-সচিবদের একান্ত সচিবদের (পিএস) প্রাধান্য দেওয়া হয়। অথচ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগেও প্রচুর দক্ষ ও যোগ্য কর্মকর্তা রয়েছেন। কিন্তু তাদের বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না। কর্মকর্তারা আরও বলেন, গত ৫ জানুয়ারি ১৩ জন ডিসিকে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই ১৩ জনের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে অন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বঞ্চিত হয়েছেন বলে মনে করেন।

সর্বশেষ খবর