আবহাওয়া রিপোর্টে ছিল টেস্টের প্রথম দিন থেকেই বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু দিনের পুরোটা সময় খেলা হতে পারেনি। আলোর স্বল্পতায় খেলা হয়নি নির্ধারিত সময়ের ১৩.১ ওভার। ৭৬.৫ ওভার খেলা হয়েছে, তাতে কাটাছেঁড়ার হিসাবে প্রথম দিনটিতে সামান্য এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। দিন শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ৪ উইকেটে ২৩৩ রান। হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক ডিন এলগার ও ওয়ানডে অধিনায়ক টেম্বা ভাবুমা। ডারবান টেস্টটি আবার ভাবুমার ক্যারিয়ারের অন্যতম মাইলফলক।
ক্যারিয়ারের ৫০ নম্বর টেস্ট খেলতে নেমে ভাবুমা অপরাজিত রয়েছেন ৫৩ রানে। টেস্টটি আবার বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হকের ক্যারিয়ারেরও বিশেষ মাইলফলক। টাইগার অধিনায়কও খেলছেন ক্যারিয়ারের ৫০ নম্বর টেস্ট। দুই ক্রিকেটারের মাইলফলকের টেস্টে হতাশাজনক পারফরম্যান্স ছিল টাইগার পেসারদের। কোনোরকম প্রভাবই ফেলতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটারদের ওপর। সারা দিনে যে ৪ উইকেটের পতন হযেছে, তার ৫০ শতাংশ বা ২ উইকেট শিকার করেছেন দুই পেসার ইবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ। শরিফুল ইসলামের ফিটনেস না থাকায় ডারবানে খেলার সুযোগ পান খালেদ। তিনিই প্রথম আঘাত হানেন স্বাগতিক শিবিরে। দ্বিতীয় সেশনে তার বলেই লিটন দাসের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন প্রোটিয়া অধিনায়ক এলগার বক্তিগত ৬৭ রানে। তৃতীয় সেশনে আঘাত হানেন মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ের নায়ক ইবাদত। তার বলে সাজঘরে ফেরেন অভিষিক্ত রায়ান রিকেলটন। আরেকটি উইকেট নেন স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার করা অফ সাইডের বাইরের বলকে কাট খেলতে গিয়ে প্লেইড অন হন ওপেনার সারেল আরউই। নির্বিষ বোলিংয়ের দিনে মিরাজের করা রান আউটটি ছিল অসাধারণ। পয়েন্ট থেকে ডাইভিংয়ে শূন্য ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে রান আউট করেন আগের দুই টেস্টের চার ইনিংসে তিনটি হাফ সেঞ্চুরি করা কিগান পিটারসনকে। ১৮০ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর ভাবুমা ও কাইলি ভেরেইন অবিচ্ছিন্ন থেকে ৫৩ রান যোগ করে দিন পার করেন। ভাবুমা ব্যাট করছেন ৫৩ রানে। ১১৯ বলের ইনিংসটিতে রয়েছে ৬টি চার। এলগার ৬৭ রান করেন ১০১ বলে ১১ চারে।
টাইগার পেসারদের হতাশার দিনে ওয়ানডে সিরিজ সেরা তাসকিন আহমেদ ১৮ ওভার ৩.২২ স্ট্রাইক রেটে ৫৮ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। ইবাদত ১৭ ওভারে ৩.৪১ স্ট্রাইক রেটে ৫৮ রানের খরচে নেন আরউইয়ের উইকেট। এলগারকে আউট করা খালেদ ১২.৫ ওভারে রান দেন ৩.৮১ গড়ে ৪৯। তবে মিরাজ ছিলেন মিতব্যয়ী। ২৬ ওভারে ২.১৯ গড়ে ৫৭ রানের খরচে নেন ১ উইকেট।