শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

আটা ময়দায় তৈরি নকল ওষুধ, জব্দ বিশাল চালান

নিজস্ব প্রতিবেদক

আটা ময়দায় তৈরি নকল ওষুধ, জব্দ বিশাল চালান

ঠান্ডা-শ্বাসকষ্ট আর গ্যাস্ট্রিকের চিকিৎসায় সর্বাধিক বিক্রি হয় মোনাস-১০ আর প্যানটোনিক্স-২০ নামের ওষুধ। এ ট্যাবলেট দুটির বিশাল একটি চালান যাচ্ছিল পুরান ঢাকার মিটফোর্ড মার্কেটে। ওষুধের এ চালান আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা জানিয়েছেন, পুরো চালানের সব ওষুধই নকল যা আটা, ময়দা আর রঙের মিশ্রণে তৈরি।

গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- নকল এসব ওষুধ মিটফোর্ড মার্কেটে আসার পর ব্যবসায়ীদের হাত ধরে কিংবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হতো। বুধবার রাতে গোপন তথ্যে পুরান ঢাকার চকবাজারের একটি কুরিয়ার সার্ভিস থেকে মোনাস-১০ ও প্যানটোনিক্স-২০ নকল ওষুধের একটি চালান আটক করে ডিবির লালবাগ বিভাগ। এ সময় আলী আক্কাস শেখ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে ফকিরাপুল থেকে ওই ওষুধ তৈরির কারখানার মালিক গিয়াস উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে, চকবাজার, ফকিরাপুল ও চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে জব্দ করা হয় ১০ লাখ ৩৪ হাজার ২৮০ পিস নকল প্যানটোনিক্স-২০ ট্যাবলেট ও ১৮ হাজার পিস নকল মোনাস-১০। এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, অধিক মুনাফার আশায় আয়ুর্বেদ ওষুধ তৈরির আড়ালে বাজারে বহুল প্রচলিত এ ওষুধ তৈরি করে বিপণন করছিল চক্রটি। নকল ওষুধ তৈরি বড় ধরনের একটি ক্রাইম। ১৬ টাকার মোনাস-১০ তারা বিক্রি করতেন ২ টাকায়। ৬-৭ টাকার প্যানটেনিক্সও তারা ২ টাকায় বিক্রি করতেন। এসব নকল ওষুধ তৈরিতে আটা-ময়দা ও রং ব্যবহার করা হতো। তিনি বলেন, নকল ওষুধগুলো প্রথমে মিটফোর্ডে আসে। এরপর সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় কম দামে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ খবর