ইউক্রেন-রাশিয়া ইস্যু ছাড়াও মানবাধিকার-গণতন্ত্র ইত্যাদি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে যে টানাপোড়েনের কথা শোনা যাচ্ছে তা আসলে কতটা তিক্ত এবং এ পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে উন্নয়ন-অভিযাত্রা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের কী করা উচিত সে আলোকে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. আলী রীয়াজ। আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট ও বিশ্বখ্যাত থিঙ্কট্যাঙ্ক ড. আলী রীয়াজ ‘আটলান্টিক কাউন্সিল’-এর অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো। বাংলাদেশি-আমেরিকান ড. রীয়াজ দীর্ঘদিন যাবৎ ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ‘ডিশটিংগুইশড প্রফেসর’ হিসেবেও সুনামের সঙ্গে শিক্ষকতা করছেন।
বাংলাদেশ প্রতিদিনকে ৩১ মার্চ দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। তার কারণ গত ৫০ বছরের বিভিন্ন সময়ে কিছু উত্থান-পতন হয়েছে, কখনো সম্পর্কে টানাপোড়েন হয়েছে, আবার কখনো সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে কোনো দুটি দেশের মধ্যে আসলে নিবিড় সম্পর্ক সব সময় অটুট থাকে না। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আমি এখন পর্যন্ত যথেষ্ট ঘনিষ্ঠই বলব। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় ধরনের বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। তার মধ্যে একটি বড় দিক হচ্ছে বাংলাদেশের সঙ্গে যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সেখানে পরিস্থিতিটা বাংলাদেশের অনুকূলে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যতটা আমদানি করে তার তুলনায় বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে অনেক বেশি রপ্তানি করে। এর বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা আছে, দীর্ঘদিন যাবৎই আছে। ২০১৬ সালের পর তা আরও শক্তিশালী হয়েছে। তা অব্যাহত থাকবে বলেই মনে হয়। ড. রীয়াজ বলেন, এর বাইরেও বাংলাদেশে কভিড মহামারির সময় যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি টিকা অনুদান দিয়েছে। বাংলাদেশ অন্যান্য দেশ থেকে যত টিকা পেয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি বিনামূল্যে পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।
ড. আলী রীয়াজ উল্লেখ করেন, তবে মতপার্থক্যও আছে। তার একটা বড় রকমের উদাহরণ হচ্ছে এই যে যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়নি। আরেকটি উদাহরণ হচ্ছে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত শীর্ষ কর্মকর্তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। র্যাবের মানবাধিকার সম্পর্কিত কাজকর্মে সংশয়-সন্দেহ আছে। এগুলো প্রমাণ করে যে যুক্তরাষ্ট্র আসলে মানবাধিকারের প্রশ্নে, গণতন্ত্রের প্রশ্নে, নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে, শ্রমিক অধিকারের প্রশ্নে বাংলাদেশের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে এসব বিষয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি ইতিবাচক নয়। জিএসপি সুবিধা বাতিলের সময় শ্রমিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র তা যথেষ্ট বিবেচনা করছে না। তদুপরি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার-সেক্রেটারি ভিক্টোরিয়া ন্যুল্যান্ড ঢাকায় গিয়েও এসব বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন। অর্থাৎ বহুমাত্রিক সম্পর্ক সত্ত্বেও এখন আমরা কিছু কিছু সমস্যা দেখতে পাচ্ছি। এসব নিরসনে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ হয় অকিঞ্চিৎকর, একেবারেই নেই অথবা যুক্তরাষ্ট্র যে ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলছে বাংলাদেশ সেগুলো করছে না।যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৪ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে থাকবেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেনের সঙ্গেও তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। সে বৈঠকের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এসব ইস্যুর পরিসমাপ্তির পথ সুগম হবে বলে কি আপনি মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, এ ধরনের আলাপ-আলোচনা হচ্ছে কূটনীতির অংশ। শুধু ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষেই নয়, বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে এবং এর বাইরেও বিভিন্ন পর্যায়ের আলোচনা হয়। সাম্প্রতিককালে, দুই বছর পরই আমরা দেখতে পেলাম যে পার্টনারশিপ ডায়ালগ (সংলাপ) হলো। এর বাইরেও বেশ কটি ডায়ালগ আগামী মাসগুলোয় হবে। এর মধ্যে বাণিজ্যবিষয়ক একটি রয়েছে। সেটি ১১ মে হবে বিজনেস লিডারদের মধ্যে। ৬ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে আরেকটি সংলাপ হবে নিরাপত্তা ইস্যুতে। ১৪ মে নিরাপত্তা ইস্যুতে আরেকটি ডায়ালগ হওয়ার কথা হাওয়াইতে। ৪ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হচ্ছে। এগুলো হতেই থাকবে। যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কের মধ্যেই এ ধরনের বৈঠকে পারস্পরিক আদান-প্রদানের কথাবার্তা হয়ে থাকে। তবে লক্ষ্য করার বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে তাদের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে (আইপিএস) বাংলাদেশ যুক্ত হবে। যদিও এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট অবস্থান জানাচ্ছে না। উপরন্তু বাংলাদেশের এখনকার যে ঝোঁক, সে ঝোঁকের মধ্যে আইপিএসের বাইরে গিয়ে কাজ করার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। চীনের সঙ্গে তার সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা ইত্যাদি মিলেই তা বিবেচনা করা হচ্ছে।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, এখনকার সামগ্রিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আইপিএসে যুক্ত হোক। কেননা বাংলাদেশের একটা কূটনৈতিক গুরুত্ব আছে। একটা ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব আছে। এবং বাংলাদেশের অবস্থানগত কারণেই বাংলাদেশ এ ধরনের গুরুত্ব বহন করে। যুক্তরাষ্ট্র সংগত কারণেই বাংলাদেশকে পাশে চায়। বাংলাদেশকেও তার জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করেই আইপিএসে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এবং এটা বিবেচনা করতে হবে দীর্ঘ মেয়াদে। শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় নয়, জাতীয় স্বার্থের বিবেচনায়, অর্থনীতি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, দীর্ঘমেয়াদি অর্থনীতির বিভিন্ন দিক বিবেচনা করতে হবে। যেমন ধরুন বাজার হিসেবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কোথায় তার পণ্য রপ্তানি করতে চায়। কোন ধরনের নিরাপত্তা সহযোগিতাকে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।
আলী রীয়াজ প্রাসঙ্গিকভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কথা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ যে সমস্যাগুলোর মোকাবিলা করছে, যেমন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সমস্যা মোকাবিলায় পাশে কে দাঁড়িয়েছে, এবং ভবিষ্যতে এর আন্তর্জাতিক সমাধানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে এসে কারা চাপ তৈরি করতে সাহায্য করবে, এগুলো বাংলাদেশকে বিবেচনায় নিতে হবে। সেভাবেই আসলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্কটাকে ভেবে দেখা উচিত। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, অন্যদের সঙ্গেও তা-ই করা উচিত। রাজনৈতিক বিবেচনা বা ক্ষমতায় থাকা-না থাকার বিবেচনার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বাংলাদেশ দীর্ঘ মেয়াদে কোনটাতে লাভবান হবে। এবং এখন যে ভূরাজনৈতিক গুরুত্বটা অর্জন করেছে, তাকে সে কীভাবে তার জাতীয় স্বার্থে ব্যবহার করবে- এটা হচ্ছে বড় বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সেভাবেই তৈরি করতে হবে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রত্যাশা এবং অন্যদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে একাত্তরে রাশিয়া আমাদের পাশে ছিল, এখন আমরা তাদের পাশে থাকব। এ অবস্থায় দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক কীভাবে অটুট থাকবে বলে মনে করেন? জানতে চাইলে ড. আলী রীয়াজ বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাশে ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। ইউক্রেন তার অংশ ছিল। ফলে একাত্তর সালে কেবল রাশিয়াই পাশে ছিল না, ইউক্রেনও আমাদের পাশে ছিল। সুতরাং আজ ওইটা বিবেচনায় আসতে পারে না যে সোভিয়েত ইউনিয়নের কেবল রাশিয়াই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পাশে ছিল। পাশাপাশি বিবেচনা করা দরকার, বাংলাদেশ তার নীতিগত অবস্থানটা কী তৈরি করবে। অর্থাৎ অতীতে দৃষ্টি প্রসারিত করলে দেখা যায়, বাংলাদেশ সব সময় ভৌগোলিক অখন্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ছোট দেশগুলোর পাশেই দাঁড়িয়েছে। এ বিবেচনায় বাংলাদেশের আজকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোই স্বাভাবিক। এ অবস্থায় অতীতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বিশেষ জরুরি অধিবেশনে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশ সব সময় ভৌগোলিক অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে ভোট দিয়েছে। একমাত্র ব্যতিক্রম ৩ মার্চ, যখন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল। এটা হচ্ছে ব্যতিক্রম। তিনি বলেন, পরবর্তীতে ইউক্রেনিয়ানদের মানবিক দিকের কথা বলে বাংলাদেশ যে ভোট দিয়েছে তা হচ্ছে তাদের নীতিগত অবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। এবং এটাই ইতিবাচক।
তিনি বলেন, এখন শুধু রাশিয়ার পাশে থাকা বিষয় নয়, প্রশ্ন হচ্ছে ওই অঞ্চলের একটি ছোট দেশের ভৌগোলিক অখন্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। রাশিয়া একটা আগ্রাসন চালিয়েছে। যখন যে দেশই আগ্রাসন চালায়, সেটি যুক্তরাষ্ট্র হোক অথবা রাশিয়া, কিংবা চীনই চালাক- তার বিরোধিতা করাটাই হচ্ছে যৌক্তিক অবস্থান। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের যে স্পিরিট তা হচ্ছে সব ধরনের আগ্রাসনের বিরোধিতা করা। বাংলাদেশ অবশ্যই শান্তি চাইবে। কে চায় না শান্তি। আমরা সবাই চাই শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান হোক।
রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানের মূল্যায়ন কীভাবে করবেন? জবাবে ড. আলী রীয়াজ বলেন, বর্তমান অবস্থানকে আমি ইতিবাচক মনে করি। শুধু ভোটের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও তার অবস্থানটা স্পষ্ট করা দরকার যে তারা আঞ্চলিক অখন্ডতার পক্ষেই থাকবে। সে জায়গায় অবশ্যই তার জাতীয় স্বার্থ বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু এ রকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য একটা নীতিগত অবস্থান নির্ধারণ করা দরকার। এটাই আসলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ড. রীয়াজ বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে শেখ হাসিনা প্রশাসনের যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা দূর করতে চলমান সংলাপ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি মনে করছি। কিন্তু মতপার্থক্যের পেছনে সবচেয়ে বড় হচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরের কিছু বিষয়। মানবাধিকারের প্রশ্ন, গণতন্ত্রের প্রশ্ন, নাগরিকের অধিকারের প্রশ্ন, শ্রমিকের অধিকারের প্রশ্ন, মত প্রকাশের জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ার যে সমস্যা এসব বিষয়েও কথা বলতে হবে। বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যকার দূরত্ব লাঘব করতে হলে এ প্রশ্নগুলো এড়ানো যাবে না; কেননা এসব বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের অবস্থান আছে, উদ্বেগ আছে। কেবল ইউক্রেন প্রশ্নে বাংলাদেশ পক্ষে না বিপক্ষে ভোট দিল তা বিবেচ্য বিষয় নয়। এগুলো তখনই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যখন আরও অন্য বিষয়ে মতপার্থক্য থাকে এবং এ ক্ষেত্রে মৌলিক মতপার্থক্য আছে। সেগুলোর মোকাবিলা করা দরকার। যেমন র্যাবের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের আগে এক দশকের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যে ভয়াবহ সে আলোচনা হচ্ছে; এটা বাংলাদেশের মানুষও জানে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও বলাবলি হয়েছে এবং হচ্ছে। এ ধপ্রণর পরিস্থিতির জন্য র্যাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের সমালোচনাও আছে। তা মোকাবিলা করতে হবে বাংলাদেশকে। এবং তা করতে হবে বাংলাদেশের স্বার্থে এবং বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে। এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে বাংলাদেশকে। সে পদক্ষেপগুলো খুব জরুরি। সে পদক্ষেপগুলো যদি নেওয়া হয় তাহলে সম্পর্কে টানাপোড়েনের যে কথা শুনছি বা জানছি, তা সহজেই মোকাবিলা করা যাবে।