সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানির নিচে রয়েছে। এদিকে সুনামগঞ্জেও বন্যা পরিস্থিতি অবনতির দিকে রয়েছে। আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
সিলেট : উজান থেকে পাহাড়ি ঢল কম আসায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সুরমা নদীর পানি সব পয়েন্টে কমেছে ও কুশিয়ারাতে কিছুটা বেড়েছে। উভয় নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা আক্রান্ত কিছু কিছু উপজেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের পাহাড়ি এলাকায় বৃষ্টিপাত না হলে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিতির আশাব্যঞ্জক উন্নতি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বন্যা কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানির নিচে রয়েছে এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক হয়নি। সিলেট নগরী ও বিভিন্ন উপজেলা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গতকালও সিলেটে ভারী বর্ষণ হয়েছে। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। কুশিয়ারা নদীর পানি সন্ধ্যা ৬টায় জকিগঞ্জের আমলসীদে বিপৎসীমার ১৭৫ সেন্টিমিটার ও শেওলায় ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। সুরমা নদীর পানি কমায় কানাইঘাটের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে নদীর পানি কমতে শুরু করায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির ফের অবনতি হয়েছে। এবার ভাটিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সুরমা নদীর ষোলঘর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার পানি কমলেও গতকাল নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে ৪ সেন্টিমিটার। থেমে থেমে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এদিকে গতকাল তাহিরপুরে উপজেলায় পল্লীতে খেত থেকে বাদাম তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে তিন শিশু নিহত ও আরও আট শিশুসহ নয়জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।