বহুল প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু এবার বাস্তবে রূপ নিয়েছে। আর মাত্র ২২ দিন পর এ সেতুতে চলাচল করবে যানবাহন। ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি উদ্যোগেই
জমকালো বর্ণাঢ্য এ আয়োজন সারা দেশে একযোগে প্রচার করা হবে। এমনকি রাজধানীর হাতিরঝিলে বড় পর্দায় দেখানো হবে পুরো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এর মধ্য দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। সারা দেশে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
ডিসিদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়- ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সারা দেশে একযোগে উদ্যাপন করা হবে। সারা দেশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সফলভাবে উদ্যাপনের নিমিত্ত ৬৪ জেলার সব জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদানের জন্য সেতু বিভাগ মন্ত্রিপরিষদবিভাগকে অনুরোধ জানিয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় পদ্মা সেতুর ব্র্যান্ডিং ও উদ্বোধনের দিন হাতিরঝিলে
অনুষ্ঠান পরিচালনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক, ঢাকাকে নির্দেশনা প্রদানের জন্য পত্রে অনুরোধ করা হয়েছে। এ অবস্থায় পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সফলভাবে উদ্যাপনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হলো।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তা নাম প্রকাশ করে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, পদ্মা সেতুর ব্র্যান্ডিং ও উদ্বোধনের দিন রাজধানীর হাতিরঝিলে বর্ণাঢ্য আয়োজন থাকবে। সারা দেশের পাশাপাশি সেখানেও বড় পর্দায় প্রচার করা হতে পারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তবে সবকিছু চূড়ান্ত করবে ঢাকা জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে আরও একাধিক বৈঠক করবেন সংশ্লিষ্টরা। এর পরই গণমাধ্যমকে জানানো হবে। সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে সেতু উদ্বোধন করে গাড়িতে চড়ে সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যাবেন। সেখানে আরেক দফা আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নেবেন। পরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীতে জনসভায় বক্তব্য দেবেন। সেতু উদ্বোধনের সরকারি কর্মসূচি সফল করতে সেতু মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১৮টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সমাজের বিশিষ্টজন, ঢাকাস্থ বিভিন্ন মিশনের কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উদ্বোধনের আগে তারা আরও কয়েক দফা পরিদর্শন করবেন।