এলিট ফোর্স র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে ঈর্ষণীয় সফলতা পেলেও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। জঙ্গিবাদ দমনের কাজ ধারাবাহিকভাবে চালানো হচ্ছে। রাজধানীর গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ছয় বছরে উদ্ধার অভিযানে নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে নির্মিত ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যে গতকাল শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের শেষ মাথায় লেকের পাড়ে ওই রেস্তোরাঁয় হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। সেখানে জিম্মি হয়ে পড়া দেশি-বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধারে গিয়ে নিহত হন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম এবং বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন। এ দুই পুলিশ কর্মকর্তার স্মরণে পুরনো গুলশান থানা ভবনের সামনে পরবর্তীতে ‘দীপ্ত শপথ’ ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়। হোলি আর্টিজানের অভিযান সম্পর্কে র্যাব মহাপরিচালক জানান, হামলার দিন ১২ ঘণ্টার মধ্যে ওই এলাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে এনে অভিযান পরিচালনার পরিবেশ তৈরি করা হয়। সেদিন জঙ্গিরা তাদের যে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে হামলা পরিচালনা করেছিল পরবর্তীতে সেটি চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চৌধুরী মামুন বলেন, এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ জোগানদাতা আমীন, সারোয়ার জাহান, শরিফুল ইসলাম খালিদ, মামুনুর রশিদ রিপনদের গ্রেফতার করেছি। আমরা সবার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে জঙ্গিদের অবস্থান, নেটওয়ার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছি। এ দমনে পাওয়া গেছে ঈর্ষণীয় সাফল্য। কিন্তু আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। জঙ্গিবাদ দমনের কাজ ধারাবাহিকভাবে চলছে, ‘সাইবার পেট্রোলিং’ কাজটি অত্যন্ত ‘গুরুত্বের’ সঙ্গে সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
জঙ্গিদের শুধু দমনই নয় তাদের সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতেও র্যাব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে চৌধুরী মামুন বলেন, এরই মধ্যে ১৬ জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছে, তাদের ডি-রেডিক্যালাইজেশন করেছি। তাদের সঙ্গে আমাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে। আমরা এ কাজটি করছি। ?জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ দমনে র্যাব ‘দৃঢ়ভাবে’ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সিলেটে জঙ্গি দমন অভিযানে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল আজাদ শহীদ হয়েছেন। তাদের ত্যাগ আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।