শুক্রবার, ৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা
কীভাবে সংকটের নিরসন

অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হবে জ্বালানি তেলে

নসরুল হামিদ

অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হবে জ্বালানি তেলে

এবার জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেছেন, আমরা লক্ষ্য করছি প্রায় ৬-৭ মাস ধরে তেলের মূল্য প্রচণ্ডভাবে ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে। যে তেল আমরা ৭০-৭১ ডলারে কিনতাম এখন তা ১৭১ ডলার হয়ে গেছে এবং সেটা সবসময় বাড়তির দিকেই যাচ্ছে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি যে, তেলের মূল্যের ক্ষেত্রে অ্যাডজাস্টমেন্টে যাব। কিন্তু নিজস্ব অর্থে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি। তারপরও আমার মনে হয় একটা সময় গিয়ে আমাদের অ্যাডজাস্টমেন্টে যেতে হবে প্রাইসে। গতকাল সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক অডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে তেলের দামের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ তারা নিয়েছে। তেলের মূল্য তারা সমন্বয় করেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বিভিন্ন তেলের ক্ষেত্রে লিটারপ্রতি প্রায় ৩৫ থেকে ৫০ টাকার পার্থক্য। বাংলাদেশের ৬৪ শতাংশ বিদ্যুতের পাওয়ার প্লান্ট গ্যাস দিয়ে চলে। আমাদের যে নিজস্ব প্রাকৃতিক গ্যাস তা আমরা দিন দিন বাড়াচ্ছি আবার দিন দিন কমছে দুটো দিকই আছে। যেটা আমরা বাড়াচ্ছি অর্থাৎ যে খনিগুলো থেকে গ্যাস পাচ্ছি সেটা খুব স্বল্প পরিমাণে। কিন্তু গ্যাস কমছে খুব দ্রুতগতিতে। আমি পাঁচ বছর আগে থেকে বলে আসছি আস্তে আস্তে গ্যাস কমতির দিকে যাবে। নসরুল হামিদ বলেন, বড় কথা হলো, আমরা যে অ্যাডজাস্টমেন্ট করতাম, যে ঘাটতিটা ছিল গ্যাসে সেটা আমরা আমদানিকৃত গ্যাস দিয়ে পূরণ করতাম। এর মধ্যে দুটি ধারা, একটি হলো লংটার্ম কনট্যাক্ট, সেই প্রাইসটা ফিক্সড করা। তুলনামূলক এই দামটা তেলের সঙ্গে ওঠানামা করে। আরেকটা হলো স্পট মার্কেট। এই মার্কেটের ডিমান্ড বেড়ে গেছে প্রচণ্ডভাবে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তেল এবং গ্যাসের দামে প্রচণ্ডভাবে প্রভাব পড়েছে। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের অধিকাংশ দেশ গ্যাস নেয় রাশিয়া থেকে। সেটা তারা এখন বন্ধ করে দিচ্ছে বলেই সব দেশ এই গ্যাসের ওপর (স্পট মার্কেট) প্রচণ্ডভাবে নির্ভরশীল হয়ে গেছে। এ কারণে যেটা চার ডলারের গ্যাস সেটা ৩০ ডলার হয়ে গেছে স্পট মার্কেটে। সেটা কিনতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। অর্থের জোগান দিতে নাভিশ্বাস অবস্থা। সরকারি ভর্তুকি দিয়েও এই পরিমাণ অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব হবে না । আমরা যদি শুধু দাম বাড়াতেই থাকি তাহলে সাধারণ মানুষের ওপর প্রচণ্ডভাবে চাপ তৈরি হবে। আমরা গ্যাসে সামান্য পরিমাণ মূল্য সংযোজন করেছি। এখনো আমরা তেলের ব্যাপারে করি নাই। আশা করব সবাই বিষয়টি বুঝতে পারবেন এবং ধৈর্য ধরবেন। এটা খুব সাময়িক। খুব দীর্ঘকালের জন্য না। আমাদের প্রচুর পাওয়ার প্লান্ট আছে। কিন্তু আমরা গ্যাসের কারণে সেগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছি।

সর্বশেষ খবর