সোমবার, ১৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ

মাগুরা প্রতিনিধি

মাগুরার শ্রীপুরের ওয়াপদা বাসস্ট্যান্ডে শনিবার পুলিশের এক উপপরিদর্শকের মারধরে সালাম শেখ (৫০) নামে এক বাস কাউন্টার কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। নিহত আবদুস সালাম মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার রায়নগর গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় গতকাল দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে অভিযুক্ত শ্রীপুরের নাকোল পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেনকে ফাঁড়ি থেকে মাগুরা পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়েছে। নিহতের বড় ভাই আবদুল বারি শেখসহ অনেকে অভিযোগ করেন, শনিবার বিকাল ৫টার দিকে বাসস্ট্যান্ডের নূপুর পরিবহনের টিকিট কাউন্টারে এক যাত্রীর সঙ্গে কাউন্টার কর্মী সালাম শেখের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ওই যাত্রী মোবাইল ফোনে নাকোল পুলিশ ফাঁড়িতে বিষয়টি জানালে উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেন পুলিশের একটি দল নিয়ে আসেন। জামাল হোসেন এসে সালাম শেখকে বুকে লাথি মারাসহ মারধর করতে করতে পুলিশ ভ্যানে ওঠিয়ে ফাঁড়িতে নিয়ে যান। ফাঁড়িতে নিয়ে সালাম শেখকে আবার মারধর করা হলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ সালাম শেখকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল এহসান বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই সালাম শেখ মারা গেছেন। আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি’। এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। 

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, ‘যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাস কাউন্টার কর্মী আবদুস সালামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ফাঁড়িতে আনা হয়েছিল। এ সময় সে দৌড়ে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। সালাম শেখের বুকে লাথি মারা হয়নি বলে উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেন জানিয়েছেন। তবু ঘটনার যথাযথ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেনকে মাগুরা পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়েছে’। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করেনি।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর