বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

সংলাপে অংশ নেয়নি বিএনপি

অপেক্ষা করবেন সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশনের সংলাপে অংশ নেয়নি বিএনপি। তবে সংলাপে না এলেও দলটির জন্য ‘অপেক্ষা’ করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। গতকাল রাজনৈতিক দলগুলোর সধেঙ্গ ধারাবাহিক সংলাপের চতুর্থ দিনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

গতকাল সকালে গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে বিকালে বিএনপির সঙ্গে বসার সূচি ঠিক করে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে মঙ্গলবারই ইসিকে ‘না’ বলে দেওয়া হয়। এর আগে ইভিএম নিয়ে ইসির মতবিনিময় সভাতেও দলটি যোগ দেয়নি। চার দিনে ১১টি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি, আমন্ত্রণ পাওয়া দুটি দল আসেনি। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলোর সঙ্গে এ বৈঠক শেষ করার কথা রয়েছে ইসি। গণতন্ত্রী পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকরা বিএনপির এ অবস্থানের বিষয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। উত্তরে তিনি শুধু বলেন, আমরা ওয়েট করব। সিইসি জানান, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তিনি ‘ইতিবাচক মনোভাব’ দেখেছেন। তার আশা, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা নেবে। পাশাপাশি ইসির চেষ্টাও অব্যাহত থাকবে। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো পার্টি সংলাপে অংশ নিয়েছে, তাদের সবার মনোভাব ইতিবাচক। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার যাতে প্রয়োগ করতে পারেন, এ বিষয়টি তারা নিশ্চিত করেত বলেছেন। রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছাতে দলগুলোকে প্রচেষ্টা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, আমরা বলেছি আমরা আমাদের প্রয়াস অব্যাহত রাখব। এ বিষয়ে কেউ ‘না’ করেনি; প্রয়াসটি অব্যাহত থাকবে। আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, ঐক্যটা আমাদের নয়, আমরা রাজনৈতিক দলগেুলোকে বলেছি, আপনারা ঐক্যের চেষ্টা করুন এবং ঐক্য হলে আমরা আনন্দিত হব। ইসির প্রতি কিছু রাজনৈতিক দলের যে অনাস্থা, এ সংলাপের মধ্য দিয়ে তা দূর হবে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ইসির প্রতি অনাস্থা সবসময় আছে বা নেই দুটো জিনিস। আপনারা তো পেপারেই দেখছেন, একটা দলের হয়তো অনাস্থা আছে। আবার আমাদের সঙ্গে যারা বসেছে, তাদের প্রত্যেকের আমাদের প্রতি আস্থা আছে। সংলাপ শেষ হলে এ আলোচনার সারসংক্ষেপ সবাইকে ‘অবহিত করা হবে’ বলে জানান সিইসি। গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে ১০ জন প্রতিনিধি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংলাপে অংশ নেন। গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কোনো খেলা নয়, ইসি রেফারিও নয়। ইসির দায়িত্ব হচ্ছে অভিভাবকের। কোনো দল নির্বাচনে এলো কি এলো না, তা কমিশনের দায়িত্বও নয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে হবে ইসিকে।

ভোটের আগে পর্যন্ত বিএনপির জন্য অপেক্ষা : গতকাল বিকাল ৪টার দিকে নিজ কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, উনারা (বিএনপি) এলে ভালো হতো। আমাদের চলমান সংলাপ ভালো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো সুচিন্তিত মতামত দিয়েছে। এগুলো আমাদের ভালো নির্বাচন করার জন্য সহায়ক হবে। তবে যারা আসেননি, তারা এলে আরও ভালো হতো। এ জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তিনি জানান, জাতীয় নির্বাচন এখনো অনেক দেরি রয়েছে। আগামী বছরের শেষে অথবা পরের বছরের প্রথম দিকে নির্বাচন হবে। এখনো যথেষ্ট সময় রয়েছে। বিএনপিকে আনার বিষয়ে আর কোনো উদ্যোগ নেবেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা তো বারেবারেই উদ্যোগ নিয়ে যাচ্ছি। আগেও ইভিএমের বিষয়ে যোগাযোগ করেছি, আসেনি।

এখন যে সংলাপ সে বিষয়ে যোগাযোগ করেছি, আসেনি। সামনে যোগাযোগ আবারও থাকবে। ইসির অব্যাহত প্রয়াস ভোটের আগ পর্যন্ত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। বিএনপির জন্য কতদিন অপেক্ষা করা হবে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচনের আগ পর্যন্ত।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর