বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকা জোড়া দিয়ে যে ‘বিকৃত’ ছবি ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছিল, তা সরিয়ে নিয়েছে ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশন। গতকাল দুপুরে হাইকমিশনের ফেসবুক পাতা থেকে ওই ছবি সরিয়ে এখন কেবল পাকিস্তানের পতাকার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন গতকাল সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পাকিস্তান হাইকমিশনকে ফেসবুক থেকে ওই ছবি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। তারা আমাদের বলেছে, অন্য ক্রিটিক্যাল মোটিভ নিয়ে করে নাই। তবে আমরা তাদের বলছি, আমাদের এখানে তোমরা বাদ দিলেই ভালো। আশা করি, তারা সরাবে। আরেক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের আপত্তি থাকলে, অবশ্যই তারা মানবে। বলেছি, যে এটা আমাদের পছন্দ না। আশা করি তারা এটা সরিয়ে নেবে। হাইকমিশন কেন ওই কাজ করেছে, সেই ব্যাখ্যায় মন্ত্রী বলেন, তারা প্রত্যেক দেশে করে থাকে, তাই করেছে। কোথাও থেকে তারা কোনো অবজেকশন পায় নাই। পাকিস্তান হাইকমিশন বলেছে, যে যে দেশে তাদের দূতাবাস আছে, তারা সে দেশের পতাকা ও তাদের পতাকা দিয়ে এমন করেছে- কয়েকটা নমুনা পাঠিয়েছে। নমুনা হিসেবে সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তুরস্ক, সৌদি আরব ও মালেয়শিয়াসহ বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কভার ফটোর ছবি পাকিস্তান হাইকমিশন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে জানান মোমেন।

পাকিস্তান হাইকমিশনের ব্যাখ্যা চেয়ে লিগ্যাল নোটিস : বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সঙ্গে পাকিস্তানের পতাকা জুড়ে দিয়ে ফেসবুকে প্রকাশ করায় ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে লিগ্যাল নোটিস পাঠানো হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুল মালেক মশিউর ওরফে মশিউর মালেক এ নোটিস পাঠান।

পরে আইনজীবী মশিউর মালেক বলেন, গত তিন দিন ধরে আমরা পাকিস্তান হাইকমিশনের অফিশিয়াল ভেরিফাইয়েড ফেসবুক পেজে দেখেছি, পাকিস্তানের পতাকার সঙ্গে বাংলাদেশের পতাকা যুক্ত করে তারা বাংলাদেশের পতাকা বিকৃতি করেছে। তিনি বলেন, তাদের এ ধরনের কার্যকলাপের মাধ্যমে আমাদের পুরো জাতি ও স্বাধীনতাকে অসম্মান করেছে। এর ফলে তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ভঙ্গ করেছে। এ অবস্থায় তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। নোটিসের সঠিক জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান নোটিসকারী এ আইনজীবী।