‘আওয়ামী লীগ পালানো পথ পাবে না’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আপনারা প্রতিদিনই বলেন সরকার পালিয়ে যাবে। কোথায় পালাব? আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই, প্রয়োজনে দেশের মাটিতে জেলে যাব।
গতকাল বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সহযোগী সংগঠনগুলোর জরুরি সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি মন্তব্য করেন, আওয়ামী লীগ মাঠে নামলে বিএনপির আন্দোলন কর্পূরের মতো উড়ে যাবে। বৈঠকে আগামী ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলার ১৭তম বার্ষিকীতে রাজধানীসহ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়াও বিএনপির মিথ্যাচারের প্রতিবাদে খুব শিগগিরই রাজপথে নামার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে। বৈঠকে ওবায়দুল কাদের সভাপতিত্ব করেন। তার সূচনা বক্তব্য শেষে বৈঠক হয় রুদ্ধধার। এ সময় সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা ছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য দেন। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিরোধী কর্মসূচি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা তো গণতন্ত্রের বিষয়। আমরা তাদের বাধা দেব কেন? তবে তারা যদি এই আন্দোলনের সঙ্গে সহিংসতার উপাদান যুক্ত করে, আগুন সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামে তখন কি আমরা ঘরে বসে থাকব? আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কি আঙুল চুষবে? রাজপথে মোকাবিলা হবে। যৌথ সভায় বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিপ্লব বড়ুয়া, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম, সায়েম খান, রিয়াজুল কবির কাওছার, মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানসহ দলের সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তরের নেতারা।