রবিবার, ২১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

চারজনের ঝুলন্ত লাশ রাজধানীতে

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর পৃথক স্থান থেকে চারজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বেলা ২টায় রামপুরার মালিবাগ বাজার রোডের একটি বাসা থেকে মেহেদী হাসান (২০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টায় বাড্ডায় আবু হানিফ (৫৪) নামের এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। একই রাতে যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় সোহেল (৩০) নামে এক রাজমিস্ত্রির লাশ উদ্ধার হয়। এ ছাড়া রামপুরা বনশ্রী এলাকার একটি সাত তলা বাসা থেকে লাবনী আক্তার সোহাগী (২৪) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল লাশ চারটির ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়। ঢামেক সূত্র জানায়, রামপুরার মেহেদী একটু রাগী প্রকৃতির ছিলেন। পারিবারিক সামান্য কোনো কথায় রেগে যেত। গতকাল সকালে পারিবারিক যেকোনো বিষয় নিয়ে মা ও সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লিমা আক্তারের সঙ্গে তর্ক হয়। পরে দুপুরে তার শোয়ার ঘরে সবার অগোচরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা পিছিয়ে গলায় ফাঁস নেন। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বেলা সাড়ে ৩টায় ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মেহেদী চাঁদপুরের মতলব উপজেলার দাসের বন্দর গ্রামের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আবদুল কুদ্দুসের ছেলে। এদিকে শুক্রবার কাজ শেষে রাতে বাসায় এসে নিজের কক্ষে যান সোহেল। রাতে খাওয়ার জন্য তাকে অনেক ডাকাডাকি করলেও তিনি দরজা খোলেননি। পরে দরজার ফাঁক দিয়ে স্বজনরা দেখেন সোহেল গলায় ফাঁস নিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। শুক্রবার রাত ১২টায় বনশ্রীর একটি সাততলা ফ্ল্যাট থেকে সোহাগীর লাশ উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে, সোহাগীর বাড়ি ফরিদপুরে নগরকান্দা উপজেলার উত্তর গুপিনাথপুরে। পুলিশের ধারণা, স্বামীর সঙ্গে কলহের জেরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সোহাগী। পূর্ব বাড্ডার সেকান্দারবাগ এলাকা থেকে আবু হানিফের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। বাড্ডা থানার এসআই আল ইমরান আহম্মেদ জানান, আবু হানিফের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আবার বিয়ে করেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি বাসায় গলায় ফাঁস নেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তার গলায় কালো দাগ রয়েছে। গ্রামের বাড়ি বরগুনা সদরের লেমুয়াতে।

সর্বশেষ খবর