শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
জেআরসি মন্ত্রীদের বৈঠক

নয় নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা

কূটনৈতিক প্রতিবেদক

নয় নদীর পানি ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক। গতকাল নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে গঙ্গা, তিস্তা, মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার ও কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়। তবে একটি অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির জন্য এই নদীগুলোর পাশাপাশি আরও কয়েকটি নদীর তথ্য সংগ্রহের বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। জানা যায়, জেআরসির আনুষ্ঠানিক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক দুপুর ১টার দিকে সুষমা স্বরাজ ভবনে শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলে। বাংলাদেশের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ও ভারতের জলশক্তি (পানিসম্পদ) মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং সাখাওয়াত বৈঠকে নিজ নিজ পক্ষে নেতৃত্ব দেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমও বৈঠকে যোগ দেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান, মঙ্গলবার সচিব পর্যায়ের বৈঠকে পানিসম্পদ এবং পানি সংক্রান্ত বিষয়ে বৃহত্তর সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন বিশেষত গঙ্গা, তিস্তা, মনু, মুহুরি, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার ও কুশিয়ারা নিয়ে আলোচনা হয়। এর বাইরে বন্যা সতর্কতা নিয়ে আগাম তথ্যবিনিময়, নদী রক্ষা কার্যক্রম, অভিন্ন মোহনা ব্যবস্থাপনা এবং ভারতীয় আন্তনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন পানি বণ্টন চুক্তির জন্য আরও কয়েকটি নদীর তথ্য বিনিময়ের বিষয়েও বৈঠকে একমত হয়েছে দুই দেশ। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বহুল প্রতীক্ষিত তিস্তা পানি চুক্তি দ্রুততম সময়ে স্বাক্ষরের অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভারতীয় পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ভারতের মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। ভারত এ বিষয়ে কাজ করছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে উভয় পক্ষ গঙ্গা পানি চুক্তি ১৯৯৬-এর সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করার বিষয়ে একমত হয়।

 

সর্বশেষ খবর