শুক্রবার, ২৬ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা
ইসি আলমগীর বললেন

কোনো দল এলেও নির্বাচন হবে না এলেও হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল এলেও নির্বাচন হবে, না এলেও নির্বাচন হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। গতকাল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনো একটা দল না এলেও আমাদের নির্বাচন করতে হবে। না হলে সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে দায়ী হব। কোনো একটি দলকে নির্বাচনে আনা বা না আনার দায়িত্ব ইসির নয়। সংবিধানের কোথাও আমাদের এ দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। বিএনপি না এলে নির্বাচন হবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কারও নাম উল্লেখ করব না। আমরা বলব, কোনো দল না এলেও নির্বাচন হবে, এলেও নির্বাচন হবে। অপেক্ষা করেন, এখনো তো এক বছর চার মাস সময় আছে, আসতেও পারে। ইভিএমের কারণে কিছু দল না এলে এ সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী কি না প্রশ্নে মো. আলমগীর বলেন, সংবিধানে বলা আছে- যারা আগ্রহী তাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করবে। সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন করতে হবে, এ কথা কিন্তু বলা হয় নেই। কোনো দলের হয়তো সক্ষমতা নাও থাকতে পারে। আমাদের দিনক্ষণ গুণে কিন্তু নির্বাচন করতে হবে।  সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার জানান, বর্তমানে সক্ষমতা আছে ৭০ থেকে ৮০টা আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করার। দেখা গেল মেশিন হয়েছে বা সক্ষমতা নেই তাহলে ৭০-৮০টাও হতে পারে, আবার ৫০টাতেও হতে পারে। তবে ১৫০টির ওপরে হবে না। মিনিমাম ধরে রাখেন ৭০-৮০টা। কোনো কারণে যদি আমরা নতুন মেশিন কিনতে না পারি, কেননা হার্ডওয়ার পুরোটাই বিদেশ থেকে আসে। তারা যদি না দিতে পারে। তখন হয়তো আর কিনতে পারব না। আবার ফান্ড যদি না পাই তাহলেও তো কিনতে পারব না। ১৫০টি আসনের জন্য আনুমানিক আরও প্রায় দেড় থেকে ২ লাখ ইভিএম কিনতে হবে। আস্থার সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত কোনো নির্বাচন কমিশন আস্থা অর্জন করেছে, তা বলা যাবে না। সেনা মোতায়েনের বিষয়ে তিনি বলেন, তারা ইভিএমে কারিগরি সহায়তা দিতে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে। এ ছাড়া অন্য কোনো ভূমিকায় রাখার সুযোগ নয়। যেখানে প্রয়োজন আছে, সেখানে ডাকলে চলে আসবে। পুলিশ, বিজিবি, আনসারের মতো তো প্রতি কেন্দ্রে তাদের রাখা সম্ভব নয়। আমরা তাদের সহায়তা নেব। সরকারকে সে বিষয়ে প্রস্তাব দেব।

সর্বশেষ খবর