শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

চিরনিদ্রায় শায়িত ড. আকবর আলি খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

চিরনিদ্রায় শায়িত ড. আকবর আলি খান

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খানের জানাজা গতকাল গুলশানের আজাদ মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয় -বাংলাদেশ প্রতিদিন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খানকে গতকাল বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে। এর আগে দুপুরে রাজধানীর গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে জুমার নামাজ শেষে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মসজিদ প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয়। জানাজায় অংশ নেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান প্রমুখ।

ড. আকবর আলি খানের ছোট ভাই কবির উদ্দিন খান, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম, ভাগ্নি জামান সরকারসহ অন্য স্বজনরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। জানাজার পর মসজিদ প্রাঙ্গণে তাঁর মৃতদেহ আনা হলে শোকাতুর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তাঁর মৃতদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় এ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে। এ সময় ঢাকা জেলা প্রশাসনের এডিসি কাজী হাফিজুল আমিন, ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরিফসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জানাজা শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, ড. আকবর আলি খান মেধাবী আমলা ছিলেন। তাঁর জীবনের পুরোটা অংশ জনগণের সঙ্গে জড়িত ছিল। জনগণের কল্যাণই তাঁর প্রধান লক্ষ্য ছিল। তাঁর চলে যাওয়ার শূন্যতা সহজে পূরণ হওয়ার নয়। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আকবর আলি খান কঠিন পরিশ্রম করেছেন বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য। জাতির একটা বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল, বিশেষ করে এই সময়ে, যখন সত্য কথা বলার লোক নেই। তাঁর মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধের একটি নক্ষত্র খসে পড়ল। তিনি সবসময় সাহসের সঙ্গে কথা বলতেন এবং লিখতেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদার আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাঁর মৃতদেহ তোলা হয় লাশবাহী গাড়িতে। তখন কিছু সময়ের জন্য আকবর আলি খানকে শেষবারের মতো দেখার সুযোগ দেওয়া হয় পরিবারের সদস্য, ভক্ত ও গুণগ্রাহীদের। পরে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুরে। বিকাল ৩টায় মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। ড. আকবর আলি খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, রাজনীতিক, আমলাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। শোক জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

 

সর্বশেষ খবর