বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াইয়ে শশী

প্রতিদিন ডেস্ক

কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়াইয়ে শশী

উপমহাদেশের অন্যতম পুরনো রাজনৈতিক দল ভারতের কংগ্রেস। দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় ছিল দলটি। তবে ভারতের রাজনীতিতে এখন কোণঠাসা অবস্থা। এক যুগের বেশি সময় ধরে দেশটিতে হিন্দুত্ববাদী বিজেপি উত্থ্যান হয়েছে। এ অবস্থায় আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের দলের সভাপতি নির্বাচন। তবে নির্বাচনে সবকিছুকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে দলের নেতৃত্ব হয়তো আর থাকতে চাইছে না গান্ধী পরিবার। ২০ বছরের বেশি সময় পর গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ দলটির সভাপতি হতে পারেন। এখন পর্যন্ত নেতৃত্বের এই লড়াইয়ে রয়েছেন গান্ধী পরিবারের অনুগত অশোক গেহলট আর সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত শশী থারুর। সাবেক এই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শশী থারুর সোমবার সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। সূত্রের খবর, সোনিয়ার ‘?অনুমতি’? পেয়েই নির্বাচনে লড়তে চলেছেন থারুর। এ ঘটনা কংগ্রেসের ২৮ জন নেতার মধ্যে থারুর একজন, যিনি দলে সংস্কারের সমর্থনে সোচ্চার হয়েছিলেন। সূত্রের খবর, সোমবারের বৈঠকে সংস্কারের বিষয়টি মেনে নিয়েছেন সোনিয়া স্বয়ং। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে শশী থারুরসহ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা হাইকমান্ডকে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে সভাপতি পদে নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখার অনুরোধ করা হয়েছিল। তারপর সোমবারই থারুর দেখা করেন সোনিয়ার সঙ্গে। এদিকে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, সভাপতি পদ চান রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও। তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র সোমবার সন্ধ্যায় জানিয়েছে, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি যাবেন তিনি। সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন জমা দেবেন ২৬ সেপ্টেম্বর। মরুরাজ্যের তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী, ৭১ বছরের অশোক কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের অন্যতম। ছাত্রাবস্থা থেকেই কংগ্রেস রাজনীতি করেছেন তিনি। অন্যদিকে, একদা জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি পদে কর্মরত থারুরের বয়স ৬৬ হলেও তিনি সক্রিয় রাজনীতি করেছেন দেড় দশকেরও কম সময়। ২৫ বছরের অধিকাংশ সময় এই পদে হয় সোনিয়া গান্ধী অথবা তাঁর ছেলে রাহুল গান্ধী ছিলেন।

এদিকে, দলের যোগাযোগের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেস আইনপ্রণেতা জয়রাম রমেশ বলেন, ‘যিনিই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান স্বাধীনভাবে করতে পারেন এবং তাঁকে স্বাগত জানাই। এটাই কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধীর ধারাবাহিক অবস্থান। এটা উন্মুক্ত, গণতান্ত্রিক এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়া। প্রতিযোগিতার জন্য কারও কাছ থেকে সম্মতি নেওয়ারও প্রয়োজন নেই।’ আগামী তিন দিনের মধ্যে সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র দাখিল শুরু হবে।

গান্ধী পরিবারের বাইরে সবশেষ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন সীতারাম কেশরী। নরসীমা রাও নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার প্রায় দুই বছর পর কেশরীর কাছ থেকেই ১৯৯৮ সালে দায়িত্ব নেন সোনিয়া গান্ধী। স্বামী রাজীব গান্ধী হত্যার পর রাজনীতিতে না আসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কিন্তু কংগ্রেসের ওই দুরবস্থার সময় দলে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দেন সোনিয়া গান্ধী।

সর্বশেষ খবর