পিরোজপুরে মঠবাড়িয়া উপজেলায় ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদককে কুপিয়ে তার পায়ের গোড়ালি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে প্রতিপক্ষরা। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গুদিঘাটা গ্রামের ভাঙ্গাপুল নামক স্থানে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শফিকুলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নাসির হাওলাদার নামে একজনকে আটক করেছে।
হামলায় আহত মো. শফিকুল ইসলাম তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং তুষখালী গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে। গুরুতর আহত শফিকুলকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়ার পর বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দুপুরের পরে তাকে ঢাকা প্রেরণ করা হয়েছে।
গতকাল সকালে তুষখালী থেকে ভাড়ায় চালিত একটি মোটরসাইকেল যোগে মঠবাড়িয়া যাওয়ার পথে তার পথরোধ করে ৫-৬ জন। এ সময় দুবর্ৃৃত্তরা শফিকুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার বাম পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন করে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে সেখানে ফেলে রেখে চলে যায়। এরপর স্থানীয়রা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, একটি মামলায় হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় শফিকুলের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। তবে কী কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে তা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, শফিকুলের সঙ্গে স্থানীয় এক পক্ষের বিরোধ ছিল। তাদের বিরুদ্ধে শফিকুল মামলা করেছিল, তারাও শফিকুলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। সব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পূর্ব বিরোধে, না কারও ইন্ধনে এ হামলা; তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, শফিকের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার বিষয়টির সুযোগ নিয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষ এ হামলা করে থাকতে পারে।