বিদেশি বিনিয়োগকৃত প্রতিষ্ঠান রাকিন ডেভেলপমেন্টে সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে এস এ কে একরামুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুইজারল্যান্ডের নাগরিক ফাদি বিতার ও উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া তাসনীনকে জিম্মি, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত এবং জোরপূর্বক অফিস দখল করে নিয়েছে কোম্পানি থেকে দুর্নীতির দায়ে বহিষ্কৃৃত সাবেক এমডি এস এ কে একরামুজ্জামান। গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুইজারল্যান্ডের নাগরিক ফাদি বিতার সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগে (এফডিআই) বাংলাদেশের আবাসন খাতে ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে রাকিন ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি (বিডি) লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ করা হয়েছে, যেখানে প্রচুর সংখ্যক বাংলাদেশির কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন না থাকা, কোম্পানির কার্যক্রমে সন্দেহজনক অর্থ লেনদেন, কোম্পানিতে নানারকম অনিয়ম-দুর্নীতি এবং তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার কারণে বিগত ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কোম্পানির ৮১তমও বার্ডসভায় একরামুজ্জামানকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফিদার বলেন, এমডি’র দায়িত্ব নিয়ে দেখতে পাই পূর্ববর্তী এমডি একরামুজ্জামান কোম্পানির প্রচুর পরিমান অর্থ নিয়ম বহির্ভূতভাবে খরচ করেছেন। কোম্পানিকে সুশৃঙ্খল ও জবাবদিহিতায় আনতে এবং এখানে গ্রাহকদের অর্থ বিনিয়োগকে নিরাপদ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করি। এতে একরামুজ্জামান নাখোশ ও ক্ষিপ্ত হন। এই পরিস্থিতিতে, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সকালে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এমডি এস এ কে একরামুজ্জামানের নেতৃত্বে রাশেদুল আলম, আরিফুর রহমান তপন, আবদুল্লাহ কায়সার ও সোহাগসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০/৩০ জনের বহিরাগত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রাকিন ভেলপমেন্ট কোম্পানি (বিডি) লিমিটেডের রাজধানীর মিরপুরস্থ কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। বর্তমান এমডি সুইজারল্যান্ডের নাগরিক ফাদি বিতার এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমাইয়া তাসনীনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৪ ঘণ্টা ধরে আটকে রেখে মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট ও তছনছ করে এবং জোরপূর্বক অফিস দখল করে। বিদেশি নাগরিক হিসাবে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভয় পেয়ে এখন মানসিকভাবে চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দেশে যদি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কোনো নিরাপত্তা না থাকে তাহলে বিদেশি বিনিয়োগ আরও হুমকির মুখে পড়বে বলে তিনি জানান। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, যথাযথ বিচার, আইনি সুরক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা দাবি করেন। পাশাপাশি তাদের দখলকৃত অফিস পুনরুদ্ধারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন।