মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

আরপিও সংশোধনে ফের চিঠি ইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বেশ কিছু সংশোধন প্রস্তাব আইন  মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কিন্তু দুই মাসেও এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি ইসিকে জানায়নি আইন মন্ত্রণালয়। এমনকি অগ্রগতি জানতে ইসির দেওয়া চিঠির জবাবও দিচ্ছে না মন্ত্রণালয়। এ অবস্থায় আরপিও সংশোধনীর অগ্রগতি জানতে গতকাল আইন মন্ত্রণালয়ে দ্বিতীয় দফায় চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি জানানো হয়। ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২-এর কিছু সংশোধন, সংযোজনের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আরপিও সংশোধন সংক্রান্ত খসড়া বিল প্রস্তুত করে গত ৮ আগস্ট আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে গত ৪ অক্টোবর ইভিএম সংক্রান্ত অনুচ্ছেদে বাস্তবতার নিরিখে কিছু সংশোধনী আনার জন্য খসড়া প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

ইসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও বিলের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ না নেওয়া বা অগ্রগতি সম্পর্কে ইসিকে না জানানোয় গত ২৮ সেপ্টেম্বর লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগকে জরুরি চিঠি দেয় ইসি। তাতে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। তারপরও এখন পর্যন্ত ওই খসড়া বিলের অগ্রগতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়নি। বিষয়টি জরুরি বিধায় সংশোধন সংক্রান্ত খসড়া বিলের অগ্রগতির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানানোর জন্য আবারও চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, এবারের সংশোধনীতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। এর মধ্যে ভোট বাতিলে ইসির ক্ষমতা ও ভোট বন্ধে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ক্ষমতা বাড়ানো, প্রার্থীর এজেন্টদের ভয়ভীতি দেখালে বা কেন্দ্রে যেতে বাধা দিলে শাস্তির বিধান, সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দিলে শাস্তি, দলের সর্বস্তরের কমিটিতে নারী প্রতিনিধিত্ব রাখতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় দেওয়া, দায়িত্বে অবহেলায় কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতা বাড়ানো, ভোট গণনার বিবরণী প্রার্থী ও তার এজেন্টদের দেওয়া বাধ্যতামূলক করা, মনোনয়নপত্র দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত খেলাপি বিল (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ইত্যাদি) পরিশোধের সুযোগ দেওয়া, রাজনৈতিক দলের সংশোধিত গঠনতন্ত্র ৩০ দিনের মধ্যে ইসিতে জমা দেওয়ার বিধান করারসহ গত আগস্টে এসব প্রস্তাব পাঠানো হয়। এরপর গত ৪ অক্টোবর ইভিএম সংক্রান্ত একটি সংশোধনী প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, ভোটারের আঙুলের ছাপ না মিললে একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মোট ভোটারের সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারকে ভোট দেওয়ার অনুমতি (কর্মকর্তার আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে) দিতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর