মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

ভোটকক্ষে এবার দ্বিতীয় ব্যক্তি নজরে আসেনি : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকক্ষে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি এবার নজরে আসেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। অনিয়মের কারণে গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন বন্ধ করার বার্তায় এবার জেলা পরিষদে গুরুতর অনিয়ম না হওয়ার মতো ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

গতকাল নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরায় ৫৭ জেলা পরিষদের ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে এ কথা বলেন সিইসি। এ সময় নির্বাচন কমিশনার    রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোট চলে ইভিএমে। হাজার  ভোটকক্ষের সার্বিক চিত্র কেন্দ্রীয়ভাবে পযবেক্ষণ করেন সিইসি ও সহকর্মীরা।

ভোট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘৫৭টি জেলা পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পযন্ত আমরা প্রত্যক্ষ করেছি। ভিতরে আমরা পযবেক্ষণ করেছি, কোনো রকম অনিয়ম, সহিংসতা, গোলযোগ, গ গোলের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। আমরা দেখিওনি, টেলিফোনেও যেসব সংবাদ পেয়েছি ভোট সুন্দর ছিল, আমরা সন্তুষ্ট। তিনি জানান, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এবং সুশৃঙ্খলভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিসিটিভির মাধ্যমে নতুন পদ্ধতি নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে নির্বাচন পরিচালনায়। আমাদের পর্যবেক্ষণটা আরও সমৃদ্ধ করেছি, নিঃসন্দেহে আমার সহকর্মীরাও সন্তুষ্ট। আগামীতে সবাইকে আরও ভালো সুযোগ করে দেবে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানে। কারণ, আমরা স্বচ্ছ সুন্দর নির্বাচন চাই। সবার ভোটাধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করাকে নিজেদের দায়িত্ব বলে জানান তিনি। সিইসি বলেন, আপনারা দেখেছেন ভোট কক্ষে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি যায়নি। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে যারা ভোটার তারা ভোট দিয়েছেন। ভোটার সংখ্যা কম এখানে; দেখে সবাইকে ভদ্র, মার্জিত মনে হয়েছে। জেলা পরিষদে ৬০ হাজারেরও বেশি জনপ্রতিনিধি ভোট দিয়েছেন। কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়া সবাই ভালো করে ভোট দিতে পেরেছেন বলে জানান তিনি।

বার্তা এসেছে, ইতিবাচক প্রভাব জেলা পরিষদে : গেল ১২ অক্টোবর অনিয়মের কারণে গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয় নজিরবিহীনভাবে। এর পাঁচ দিন পর ৫৭ জেলায় এ ভোট হলো। সিইসি বলেন, অনাকাক্সিক্ষতভাবে গাইবান্ধায় গুরুতর অনিয়ম আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, কমিশন শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েছে, কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোট বন্ধ করে দিতে। ইসি নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে। সেখান থেকে হয়তো একটা মেসেজ এসেছে, যেভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয় অনেকে দেখেছেন সিসি ক্যামেরায় গুরুতর অনিয়ম হলে বন্ধ হয়ে যাবে। কাজেই আমারও মনে হয় ওটার একটা পজিটিভ ইম্প্যাক্ট এ নির্বাচনে পড়েছে। জেলা পরিষদে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোট দেওয়ার বিষয়ও নজরে পড়েনি বলে উল্লেখ করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সংস্কৃতি বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, এ নিয়ে মন্তব্য নয়, এ বিশ্লেষণে আমরা যাইনি। এটা আমাদের বিষয় নয়, এটা রাজনীতিবিদরাই মনে করবেন। জেলা পরিষদের পর জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়টি সময়ই বলে দেবে বলে জানান তিনি। জাতীয় নির্বাচনের কথা এখন ভাবছি না, সময় হলে দেখা যাবে।... (সিসি ক্যামেরা ব্যবহার) সক্ষমতা ছোট পরিসরে। বড় পরিসরে বড় সক্ষমতা তৈরির চেষ্টা থাকবে।

সর্বশেষ খবর