বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা দেশ ছেড়ে পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই। ওবায়দুল কাদের গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির ‘উদীয়মান ভবিষ্যতের জন্য চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে’ বক্তৃতা করছিলেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাজনীতি না করার মুচলেকা দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বিএনপির নেতা। আমাদের নেতা-কর্মীরা পালানোর রাজনীতি করেন না। আমাদের জন্ম এ দেশে। প্রয়োজনে মরব, জেলে যাব, তবু দেশ ছেড়ে পালাব না। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান মো. হোসেন মুনসুরের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তৃতা করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর। বিএনপির আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা যেভাবে আন্দোলনের নামে লাফালাফি ও বাড়াবাড়ি করছে, তাতে আন্দোলনের পতনধ্বনি শোনা যাচ্ছে। বিএনপি তাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেনি। তার দন্ড স্থগিত করে বাসায় থাকার সুযোগ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিহিংসার রাজনীতি করেন না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে। যারা ১৫ ও ২১ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর ঘটিয়েছে, তাদের মুখে প্রতিহিংসার কথা মানায় না। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তর করেছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব আমরা। ৫০তম পবিত্র সংবিধান দিবস মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। এখন থেকে জাতীয়ভাবে দিবসটি পালন করা হবে।
আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। বৈশ্বিক সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন আমাদের কথা কম বলে কাজ বেশি করতে হবে, আর এখন সবার এই বিপ্লবটাই করতে হবে।মূল প্রবন্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত বিজ্ঞান শিক্ষাকে নিয়ে গেছে সরকার। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তুলছি আমরা। তিনি বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ১০টি প্রযুক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও চারটি বিষয়ে ফোকাস করার নির্দেশনা দিয়েছেন।