পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সম্পদ হাতে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কারণ এ অঞ্চলের সম্পদ কেউ কেউ লুট করছে। সমুদ্র সম্পদের লুট ঠেকাতে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে সেখানে ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় দেশগুলোর সহযোগিতা সংস্থা ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দেন মোমেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আইওআরএ-এর মহাসচিব সালমান আল ফারিসি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অনেকের নজর রয়েছে এমন মন্তব্য করে ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, এখানকার রিসোর্স কীভাবে ব্যবহার করা যায়, সে ব্যাপারে তারা আলোচনা করছেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে ড. মোমেন বলেন, মহাসাগরে জাহাজে আক্রমণ হয়। পাইরেসি হয়। অনেকেই মাছ ধরে, এক্সেস ফিশিং করে। আমরা এসব ঠেকাতে চাই। এ সময় আইওআরএ-এর মহাসচিব সালমান আল ফারিসি বলেন, সম্মেলনে আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা নিয়ে জোর দিয়েছি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম জানান, সম্মেলনে আটটি বিষয়ে ফোকাস করা হয়েছে। এগুলো হলো- সমুদ্র নিরাপত্তা, সমুদ্র বাণিজ্য, দুর্যোগ প্রতিরোধ, মৎস্য ব্যবস্থাপনা, ট্যুরিজম, ব্লু-ইকোনমি ইত্যাদি। এ ছাড়া ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে নতুন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইওআরএ-এর পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে সৌদি আরবের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের বর্তমান চেয়ার বাংলাদেশ। ২৩ সদস্য দেশের এ সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরুর আগে ২২-২৩ সিনিয়র অফিসিয়ালসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আইওআরএ-এর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দেন ১৬টি দেশের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন আইওআরএ সদস্য ২৩ ও পর্যবেক্ষক ১০ দেশ থেকে ১৩৪ জন প্রতিনিধি। ১৬ দেশের মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মাদাগাস্কার, সাউথ আফ্রিকা, সোমালিয়া, ইয়েমেন, মালদ্বীপ, জাপান, মরিশাস, তাঞ্জানিয়া।