নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যই আমরা ইভিএমকে বেছে নিয়েছি। ইভিএমের মাধ্যমে যত নির্বাচন হয়েছে সেগুলোতে জাল ভোটের মতো ঘটনা ঘটেনি এবং ইভিএম এখন জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
রংপুরে গতকাল সকালে প্রিসাইডিং-সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে সার্কিট হাউসে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন। আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচন ইভিএমে করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সামর্থ্য থাকলে জাতীয় নির্বাচনে ইভিএমের মাধ্যমে ৩০০ আসনেই নির্বাচন করতাম। কিন্তু বর্তমানে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন করা সম্ভব হবে। তিনি রংপুর সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। নির্বাচন চলাকালীন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনের মতো ভোটগ্রহণ বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ‘রাজনৈতিক দলের লোক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হন’ এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মকর্তা রাজনীতি করতে পারবেন না। নির্বাচনে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হন শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তারা। তাই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা প্রিসাইডিং অফিসার হন না। জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে, বিভিন্ন সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। তাদের বলছি, দ্বিধা-দ্বন্দ্ব না রেখে আসুন, বসুন ও আলোচনা করুন। আমরা তাদের আহ্বান জানাচ্ছি, কিন্তু তারা না এলে আমাদের করার কিছু নেই। এরপরেও আমরা তাদের আহ্বান করতে থাকব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেনসহ নির্বাচন কর্মকর্তারা।