রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয় পরিদর্শন শেষে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, যে ভয়াবহ তাণ্ডব আর নগ্ন চিত্র দেখলাম, এটা নজিরবিহীন। পৃথিবীতে এরকম নজির নেই। এ ধরনের ঘটনা মহান মুক্তিযুদ্ধেও হয়নি। বিএনপি কার্যালয়ের ভিতরে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অফিসের দরজা ভেঙে ভিতরে সবকিছু তছনছ করা হয়েছে। হিসাব শাখা তছনছ করা হয়েছে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশের আগে ভাঙচুর হওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও ড. আবদুল মঈন খানসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। নেতারা ৭ ডিসেম্বর পুলিশি হামলা ও ভাঙচুর হওয়া প্রতিটি কক্ষ ঘুরে দেখেন। ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের কর্মসূচি কেন্দ্র করে ৭ ডিসেম্বর দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে মকবুল হোসেন নামের একজন দলীয় কর্মী নিহত হন। এরপর পুলিশ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান চালায়। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করা হয়।
নয়াপল্টনে সংঘর্ষে নিহত মকবুলের পরিবারের পাশে দাঁড়াল বিএনপি : নয়াপল্টনে পুলিশের গুলিতে নিহত মকবুল হোসেনের পরিবারকে বিএনপির পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। গতকাল দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মকবুল হোসেনের স্ত্রী হালিমা আক্তারের হাতে ১ লাখ টাকা তুলে দেন বিএনপি নেতারা। নিহত মকবুলের মেয়ে মিথিলা আক্তার মারিয়ার লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক। মকবুলের একমাত্র মেয়ে মিথিলা আক্তার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। বিএনপির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, নিহত হওয়ার পর মকবুলের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ১ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দলটি।