করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ২০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী একযোগে টিকার চতুর্থ ডোজ কার্যক্রম শুরু হলেও এখনো মানুষের মধ্যে তেমন সাড়া দেখা যায়নি। তবে দৈনিক টিকাগ্রহীতার সংখ্যা ১০ হাজার করে বাড়ছে। প্রথম দিন চতুর্থ ডোজ নেন মাত্র ৫ হাজার ৫৩৯ জন। দ্বিতীয় দিন নেন ১৫ হাজার ৪৬৮ জন। তৃতীয় দিন নেন ২৫ হাজার ৮২৫ জন। আগে পরীক্ষামূলকভাবে নেওয়া ৪৭৬ জনসহ গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চতুর্থ ডোজ টিকা নেন ৪৭ হাজার ৩০৮ জন।
অথচ গত বছর জানুয়ারিতে দেশে করোনার টিকা দেওয়া শুরু হলে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ে। দুপুর ১টায় লাইনে দাঁড়িয়ে বিকাল ৪টায় টিকা গ্রহণের ঘটনাও আছে। এক দিনে ৩ লক্ষাধিক প্রথম ডোজ, পাঁচ লক্ষাধিক দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার রেকর্ডও রয়েছে। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথমবারের মতো করোনা টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। এপ্রিলে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়। ওই বছরের শেষদিকে বিভিন্ন হাসপাতালে পরীক্ষামূলক বুস্টার ডোজ প্রয়োগ শুরু হলেও চলতি বছরের ১৯ জুলাই সারা দেশে একযোগে বুস্টার/তৃতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়। ওই এক দিনেই ৫৬ লাখের বেশি মানুষ বুস্টার ডোজ নেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫ কোটি মানুষ প্রথম ডোজ টিকার আওতায় এসেছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন সাড়ে ১২ কোটির বেশি মানুষ। বুস্টার ডোজ (তৃতীয়) নিয়েছেন ৬ কোটি ৪৮ লাখের বেশি মানুষ। চতুর্থ ডোজ নিয়েছেন ৪৭ হাজার ৩০৮ জন।