বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না। যদি সাংবাদিকদের স্বাধীনতা পরিপূর্ণভাবে একটি দেশে চর্চা করা যায়, তাহলে সে দেশে গণতন্ত্র থাকে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজক বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, রুহুল আমিন গাজী, এম এ আজিজ, মোদাব্বের হোসেন, কামাল উদ্দিন সবুজ, কবি আবদুল হাই সিকদার, কাদের গনি চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, রিয়াজউদ্দিন আহমেদের আন্দোলন-সংগ্রাম ছিল মূলত সাংবাদিকদের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার জন্য। আওয়ামী লীগ দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই বাকশালের পরিবর্তে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করাই বিএনপির ১০ দফা দাবির একমাত্র উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, পরিবহন ধর্মঘট, হামলা-মামলাসহ নানা বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বিএনপি ১০টি বিভাগীয় গণসমাবেশ করেছে। সমাবেশগুলোয় বিপুল জনসমাগম হয়েছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই জ্যেষ্ঠ সদস্য বলেন, এই সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ইত্যাদি বিষয় ১০ দফায় রয়েছে। ১০ দফার একটাই উদ্দেশ্য, এই সরকারের হাত থেকে দেশের জনগণকে রক্ষা করা। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর কী হবে, তা দেশের জনগণ জানতে চান। বর্তমান সরকার কীভাবে সব ক্ষেত্রে দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেটা থেকে কীভাবে এই রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত করা যাবে, সে জন্য বিএনপি ২৭ দফা প্রস্তাব জাতির সামনে উত্থাপন করেছে। খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শুধু পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তন নয়, এ দেশের সব মানুষের মত ও তাদের চেতনাকে ধারণ করে একটি সরকার গঠন করা হবে। সেই সরকার এ দেশে সবার আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে, সব সংকট ও ধ্বংসপ্রাপ্ত কাঠামো মেরামত করবে।