ব্যাংকঋণের দায়ে জেলে যাওয়া পাবনার সেই আলোচিত ১২ কৃষককে জামিনে মুক্ত করার পর তাদেরসহ ৩৭ কৃষকের খেলাপি ঋণ সুদসহ পরিশোধ করে দিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। গতকাল দৈনিক কালের কণ্ঠ মিলনায়তনে পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন সমবায় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক ঝর্ণাপ্রভা দেবীর হাতে চেকের মাধ্যমে খেলাপি ঋণের অর্থ তুলে দেন।

চেক প্রদান অনুষ্ঠানে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, আমার ভীষণ ভালো লাগছে, কারণ আমরা আমাদের কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। বসুন্ধরা গ্রুপ গরিব কৃষকদের ঋণের সব অর্থ পরিশোধ করেছে। কালের কণ্ঠ শুভসংঘের জন্য কাজ করেছে।

সমবায় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক ঝর্ণাপ্রভা দেবী বলেন, ভাড়ইমারী উত্তরপাড়া সবজি চাষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের ৩৭ সদস্যের কাছে ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত পাওনা ১৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬২৩ টাকা। মামলা খরচসহ মোট ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৭১৩ টাকা বুঝে পেয়েছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষকদের মামলা নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করব। ঝর্ণাপ্রভা দেবী আরও বলেন, ২০১৬ সালে কৃষকরা যে ঋণ নিয়েছিলেন সেটা এক বছরে পরিশোধ করার কথা। কিন্তু তারা তা দীর্ঘদিন করেননি। পরে ব্যাংকের বোর্ডসভায় সিদ্ধান্ত হয় মামলা করার, ২০২১ সালে উকিল নোটিস দেওয়া হয়। যখন ওয়ারেন্ট হলো আমরা সেটা জানি না। এর জন্য আমরা দুঃখিত। আর বিশেষ ধন্যবাদ বসুন্ধরা গ্রুপকে।

উল্লেখ্য, সমবায় ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় ২৫ নভেম্বর ১২ কৃষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ২৩ নভেম্বর ওই ১২ কৃষকসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন পাবনার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সমবায় ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালে ৪০ জন কৃষক ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা করে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেননি।