বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

দায়িত্ব পালনে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে মাঠপ্রশাসনকে

-আবু আলম মো. শহিদ খান

নিজস্ব প্রতিবেদক

দায়িত্ব পালনে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে মাঠপ্রশাসনকে

নতুন বছরে সরকারের জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রশাসনের সঙ্গে মাঠপ্রশাসন, পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারের সিদ্ধান্ত সফল বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালিত করে একটি রাজনৈতিক দল। এই রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালিত হয় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দ্বারা। এদের মধ্যে রয়েছে বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যরা। তাদের সমন্বয় করে সঠিকভাবে রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা করাই সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আমরা দেখেছি বিগত বছরে দেশের কোথাও কোথাও এই সমন্বয়ের ব্যত্যয় ঘটেছে। একটি জিনিস আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে দেশের গণতন্ত্র শক্তিশালী করার জন্য মাঠপ্রশাসনের যে দায়িত্ব তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্র তখনই শক্তিশালী হবে যখন প্রশাসন দলনিরপেক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে দুর্নীতিমুক্তভাবে দায়িত্ব পালন করবে। পেশাগত দক্ষতার সঙ্গে মাঠপ্রশাসনকে সর্বোচ্চ জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেই কাজ করতে হবে। আর সরকারের এসব অঙ্গগুলো সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক থাকবে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই সচিব আরও বলেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়; এটি বৈশ্বিক সমস্যা। সারাবিশ্ব এখন এই সমস্যার সম্মুখীন। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ এখন সারা বিশ্বের বিষফোঁড়া। কঠোরভাবে দমন করতে হবে। শিক্ষাঙ্গন ও শিল্পাঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্টদের আরও সর্তক হতে হবে। সরকারের সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে অস্থিতিশীলতার কারণ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ইমেজ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আবু আলম শহিদ খান বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে আমাদের কোনো সমালোচনা হলে তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে। তাদের সমালোচনা সঠিক হলে তার প্রতিকার করতে হবে। তা সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আন্তর্জাতিক সমালোচনা তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। কারণ বাংলাদেশকেও আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলতে হয়। বিদেশে আমাদের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা প্রয়োজনে কাজ করতে হয়। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা নিতে হবে।

সর্বশেষ খবর