জঙ্গি সংগঠনের অস্ত্র সরবরাহকারী সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তারা হলেন কবির আহাম্মদ (৫০), ইয়াসিন (৪০) ও আবদুর রহমান ইমরান।
সিটিটিসি জানায়, এ তিনজনকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও রাজধানীর কদমতলী থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তিনটি দেশীয় অস্ত্র, ছয়টি একনলা বন্দুক, ১১ রাউন্ড গুলি, সিসা, এসিড, গান পাউডার, অকটেনসহ বিভিন্ন ধরনের দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে। নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সদস্যদের প্রশিক্ষণে এসব দেশি-বিদেশি অস্ত্র ব্যবহার করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলোকেও অস্ত্র সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল এই সংগঠনের বলে জানিয়েছে সিটিটিসি। গতকাল ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে এ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। সিটিটিসি প্রধান বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার সাইফুল ইসলাম তুহিন ও নাঈম হোসেনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই সংগঠনে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে কবির আহাম্মদকে শনাক্ত করে সিটিটিসি। পরবর্তীতে সিটিটিসি কবির আহাম্মদকে বান্দরবান থেকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নাইক্ষ্যাংছড়ির বাইশারী এলাকার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে মাটির নিচে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় দুটি প্লাস্টিকের ড্রাম থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কবির জানান, তিনি জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের কিছু অংশ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কাছে সরবরাহ করার পরিকল্পনা ছিল। জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার কথিত মাস্টারমাইন্ড পলাতক আসামি শামিন মাহফুজ দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে সংগঠনের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন ধাপে অস্ত্র সংগ্রহে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। প্রাথমিকভাবে কবিরের বিরুদ্ধে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় অস্ত্র মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কবির আহাম্মদ আগে অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করলেও এখন তিনিও জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সক্রিয় সদস্য। তিনি অস্ত্র সরবরাহের জন্য এ জঙ্গি সংগঠনের কাছ থেকে টাকাও নিতেন। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর ডেমরা থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা হয়েছে।