শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ব্যাংক খাত নিয়ে গুজব, চার ব্যাংকার গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ব্যাংক ও আর্থিক খাত নিয়ে গুজব রটানোর অভিযোগে রাজধানীতে চারজনকে গ্রেফতার করেছে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম-উত্তর বিভাগ। গতকাল এ তথ্য জানান সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম-উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ। 

ডিবি জানিয়েছে, ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিভিন্ন  নেতিবাচক  প্রচারণায়  লিপ্ত  ছিলেন গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা। তারা জিজ্ঞাসাবাদে তাদের অপকর্মের কথা স্বীকার করেছেন। গুলশান থানায় ৫ জানুয়ারি করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আসামিরা সবাই ব্যাংকার। তারা হলেন- সাইদ উল্লা, মোশাররফ হোসেন, শহিদুল্লাহ মজমুদার ও ক্যাপ্টেন (অব.) হাবিবুর রহমান। এর আগে গত ৮ জানুয়ারি একই ঘটনায় মোহাম্মদ নুর উন নবী, আফসার উদ্দিন রোমান, আবু সাইদ সাজু, স্বাধীন মিয়া ও আবদুস সালামকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে ওই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিবির তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য ব্যাংক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাংকটি অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছে। সম্প্রতি এই ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তা ব্যাংক সম্পর্কে মনগড়া তথ্য প্রদান করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ান। তারা জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করা। বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে অস্থিতিশীল করে তোলা। গতকাল ডিবির পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি কিছু লোককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয় এবং তাদের দেওয়া তথ্যে কিছু কর্মকর্তাকে সন্দেহের মধ্যে রেখে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার সঙ্গে কিছু সংখ্যক স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তি জড়িত ছিল। পরবর্তীতে ব্যাংকটি স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরের হাত থেকে এস আলম গ্রুপসহ অন্যদের হাতে আসে। তখন থেকে স্বাধীনতাবিরোধী চক্রটি ব্যাংকিটকে ধ্বংসের পাঁয়তারা শুরু করে। ব্যাংকটিকে ধ্বংসের পাশাপাশি তারা দেশের অর্থনীতিকে টালমাটাল করে বর্তমান সরকারকেও বেকায়দায় ফেলে দিতে চায়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুজব সৃষ্টিকারীরা মূলত স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির সহযোগিতায় তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। যা কখনই কাম্য নয় এবং এই ঘৃণ্য অভিপ্রায়কে কখনই সফল হতে দেওয়া সমীচীন নয়। এ ছাড়া দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত বৈদিশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার বিষয়টি একটি গুজব। আতঙ্কিত হয়ে ব্যাংক থেকে আমানত উত্তোলনে বিরত থাকতে হবে। প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোর বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করতে হবে। এ বিষয়ে গুজব থেকে সচেতন থাকতে হবে। গুজব রটনাকারীদের বিষয়ে পুলিশকে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

 

সর্বশেষ খবর