হত্যাকান্ডের ১৭ বছর পর যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি শওকত আলীকে (৩৪) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শাকিল নামে এক শিশুকে গলা ও পায়ের রগ কেটে হত্যার অভিযোগে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন। গতকাল র‌্যাব-২-এর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

র‌্যাব বলেছে, ২০০৬ সালের ১ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার আড়াইবাড়ি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শওকত আলীসহ অন্যরা মিলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আতিকুর রহমান শাকিলকে (১৪) মারধর করে। শাকিলের মা এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়। এ সময় তারা শাকিলের রক্ত দিয়ে গোসল করার হুমকি দেয়। এর জের ধরে ১৫ অক্টোবর রাতে শাকিল তারাবির নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাওয়ার পথে শওকতসহ অন্যরা তাকে অপহরণ করে। এরপর তারা শাকিলকে পাশের ধান খেতে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে শাকিলের পায়ের রগ কেটে দেয়। এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। ওই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০০৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ১১ আসামির মধ্যে একজনকে মৃত্যুদন্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন বিচারক। তাদের মধ্যে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত একজন ও যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত ছয় আসামি এখনো পলাতক রয়েছে। র‌্যাব-২-এর সিনিয়র এএসপি ফজলুল হক বলেন, শওকত আলী যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দি ত হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, হত্যাকাে র পর থেকে তিনি রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজের নাম পরিবর্তন করে অবস্থান করছিলেন। প্রথমে ঢাকায় একটি লন্ড্রিশপে এবং পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করে আত্মগোপনে ছিলেন। সর্বশেষ চাঁদপুরে একটি বেকারি পণ্যের প্রতিষ্ঠানের সেলসম্যান হিসেবে কাজ করতেন শওকত।