সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে বললেন বিশ্বব্যাংক এমডি

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে বললেন বিশ্বব্যাংক এমডি

দেশে শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ। তিনি মনে করেন, শিক্ষায় বিনিয়োগ কমলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা বাড়ে। বাংলাদেশে শিক্ষায় বিনিয়োগে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। শিক্ষা সব দেশের উন্নয়নের চাবি। এ জন্য ভোকেশনাল, প্রাইমারি, সেকেন্ডারি শিক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে বলে তিনি মনে করেন। ঢাকা সফররত বিশ্বব্যাংকের এমডি গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের প্যানেল আলোচনায় এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের বন্ধুত্ব উদযাপন’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এ সময় বিশ্বব্যাংকের এমডি বলেন, প্রাইমারি ও ভোকেশনালে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য খাবার বিতরণ ও উপবৃত্তি কর্মসূচি নিতে হবে। কারণ শিক্ষায় বিনিয়োগ কমলে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা বাড়ে। বাংলাদেশে দারিদ্র্য দূরীকরণ ও জলবায়ু মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক কাজ করবে বলে জানান অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ। উন্নত ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বাংলাদেশের পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক। তবে বাংলাদেশকে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম জলবায়ু পরিবর্তন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও দারিদ্র্য।

প্যানেল আলোচনায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন এখন অন্যতম সমস্যা। বিশেষ করে হাওর ও উপকূল এলাকায় বেশি। এসব এলাকায় বড় বিনিয়োগ দরকার। বছরে প্রবৃদ্ধির আড়াই থেকে তিন শতাংশ বিনিয়োগ দরকার। জলবায়ুর কারণে ‘ক্লাইমেট রিফুজি’ সৃষ্টি হচ্ছে। আমাদের মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করতে হবে। ডেল্টাপ্ল্যান কিছুটা হলেও বিনিয়োগের কিছু এলাকা ঠিক করে দিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজারের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় আরও অংশ নেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সাবেক প্রেসিডেন্ট নিহাদ কবির, বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমদ কায়কাউস।

এর আগে মূল অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের উন্নয়ন শুরু। ১৯৭২ সালে জিডিপি ছিল মাত্র ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। আমাদের দারিদ্র্যের হার কমে হয়েছে ২০ শতাংশ। মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার। গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর। বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু। মডার্ন বাংলাদেশের স্থপতি শেখ হাসিনা। এটা নিয়ে কারও প্রশ্ন নেই। বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক অনেক সহায়তা করছে।

সর্বশেষ খবর