বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউটিউব থেকে মোদির ছবির লিঙ্ক কমেন্ট অপসারণের নির্দেশ

প্রতিদিন ডেস্ক

ইউটিউব থেকে মোদির ছবির লিঙ্ক কমেন্ট অপসারণের নির্দেশ

ভারত সরকার ইউটিউব, টুইটার এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তথ্যচিত্রের লিঙ্ক ও কমেন্ট তুলে নিতে নির্দেশ দিয়েছে। জানা গেছে, নির্দেশ অনুযায়ী ইউটিউব এবং টুইটার এরই মধ্যে ভারতে এ তথ্যচিত্র প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও আগে থেকেই ভারতে এ তথ্যচিত্র দেখার ওপর মোদির সরকার নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিল। সূত্র : আনন্দবাজার, বিবিসি

প্রসঙ্গত, বিবিসির তথ্যচিত্র ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’-এ দুই দশক আগে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা তুলে ধরা হয়েছে। তথ্যচিত্রটি ভারতে দেখা না গেলেও বিশ্বের অন্যত্র এবং সামাজিক মাধ্যমের একাংশে দেখা যাচ্ছিল। বিরোধী নেতাদের বক্তব্য, নরেন্দ্র মোদি সংখ্যালঘুদের প্রতি যে আচরণ করেছেন, এক ঘণ্টার তথ্যচিত্রে তা ফুটে উঠেছে। এদিকে এই তথ্যচিত্র নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল মোদি সরকার। একে ‘অপপ্রচার’ আখ্যা দিয়ে দাবি করা হয়েছিল, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে তথ্যচিত্রটি তৈরি। ভারত সরকারের এ অবস্থানের পরই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বিবিসির তথ্যচিত্র থেকে নিজের দূরত্ব তৈরি করেন। বিবিসি দাবি করেছে, যথেষ্ট গবেষণা করে তথ্যচিত্রটি তৈরি করা হয়। এদিকে বিবিসির এই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক এবং এ সংক্রান্ত মন্তব্য সামাজিক মাধ্যম থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ জারির পর পরই বিরোধী দলের নেতারা একে ‘‘সেন্সরশিপ’ আখ্যা দিয়েছেন। তৃণমূল সংসদ সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন অভিযোগ করেছেন, ‘বিবিসির তথ্যচিত্রের ওপর তার টুইট মুছে দিয়েছে টুইটার।’

ডেরেকের বক্তব্য, এক ঘণ্টার তথ্যচিত্র দেখিয়ে দিয়েছে মোদি সংখ্যালঘুদের কতটা ঘৃণা করেন। এই তথ্যচিত্র যখন লাখ লাখ মানুষ দেখছেন, তখর তার টুইটকে তুলে নেওয়া ‘সেন্সরশিপ’ ছাড়া কিছু নয়।’’ এই তৃণমূল নেতা টুইটার থেকে পাওয়া মেইল তুলে ধরে জানিয়েছেন, ভারত সরকারের অনুরোধেই সংস্থাটি এ কাজ করেছে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় টুইটার ও ইউটিউবকে বিবিসির তথ্যচিত্রের প্রথম পর্বের লিঙ্ক ভারতে না দেখানোর ব্যবস্থা করতে বলেছে। আইটি রুলস-২০২১ এর জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করে ৫০টির মতো টুইট তুলে নেওয়ার জন্যও মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর