শুক্রবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা
ডলার সংকট কি এবার কমবে

আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পেল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে এই অর্থ জমা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। এর আগে গত বছরের ২৪ জুলাই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ চেয়ে আইএমএফকে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা ও পরামর্শের পর গত সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের সভায় ওই ঋণ অনুমোদন করা হয়। অনুমোদনের তিন দিনের মধ্যে ছাড় হয়েছে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ডলার জমা হয়েছে। শিডিউল অনুযায়ী দ্বিতীয় কিস্তি ও পর্যায়ক্রমে বাকি অর্থ আসবে। ২ দশমিক ২ শতাংশ সুদে নেওয়া এই ঋণ আসবে সাত কিস্তিতে। শেষ কিস্তি আসবে ২০২৬ সালে। বিদেশি মুদ্রার সরবরাহ সংকটের মধ্যে বাংলাদেশের বহু প্রত্যাশিত ঋণের প্রস্তাব গত ৩০ জানুয়ারি অনুমোদন করে ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদ। ৪৭০ কোটি ডলারের এই ঋণের সুবাদে রিজার্ভের বিপরীতে বিদেশি মুদ্রার একটি ‘বাফার’ তৈরির সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। ৪২ মাসের চুক্তিতে সরকারের নেওয়া ‘অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচিতে’ সহায়তা হিসেবে আইএমএফের এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) এবং এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) থেকে ৩৩০ কোটি ডলার ঋণ পাবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া আইএমএফের নবগঠিত রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনিবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় বাংলাদেশ পাবে ১৪০ কোটি ডলার। বাংলাদেশই প্রথম এশীয় দেশ, যারা এই তহবিল থেকে ঋণ পাচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে বাংলাদেশ রিজার্ভ বাড়াতে এমন অর্থের প্রত্যাশায় ছিল।

সর্বশেষ খবর