সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

আইনজীবীরা আদালতে ফিরছেন জানালেন আইনমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

আইনজীবীরা আদালতে ফিরছেন জানালেন আইনমন্ত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী ও বিচারকদের মধ্যকার চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে বিচারাঙ্গনের অচলাবস্থা নিরসনে ফের উদ্যোগ নিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসে জেলা জজসহ একাধিক বিচারক, স্থানীয় প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠক করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, আইন সচিব গোলাম সারোয়ার, জেলা জজ শারমিন নিগার, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক রবিউল হাসান, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূঞা, সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিউল আলম লিটন ও অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম খোকনসহ প্রায় অর্ধশত আইনজীবী। রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা সোমবার (আজ) থেকে আদালতে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে একটি ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। আমি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীসহ আমরা বসে এর সমাধান করে দিয়েছি। এদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভুইয়া জানিয়েছেন, সোমবার (আজ) সমিতির সাধারণ সভা শেষে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। তিনি আরও বলেন- ‘আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। সোমবার আইনজীবীদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে চলমান অচলাবস্থাসহ সার্বিক বিষয়ে আলোচনা শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অপরদিকে গতকাল সকাল থেকেই আদালতে আইনজীবীদের কর্মবিরতি চলেছে। বিচারপ্রার্থীরা আদালতে এসে দুর্ভোগে পড়ছেন।

কেয়ারটেকার সরকারের আবির্ভাব হয়েছিল বিএনপির দুঃশাসন ও নির্বাচনে কারচুপি করার জন্য : আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক অপর এক অনুষ্ঠানে বলেন, কেয়ারটেকার সরকার আর ফিরে আসবে না। এ দেশে কেয়ারটেকার সরকারের আবির্ভাব হয়েছিল বিএনপির দুঃশাসন ও নির্বাচনে কারচুপির করার জন্য। যখন কেয়ারটেকার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা হলো, তখন হাই কোর্ট বলল কেয়ারটেকার সরকার সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই হাই কোর্ট কেয়ারটেকার সরকার বাতিল করে দেন। সংবিধানে যেভাবে আছে সেভাবে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 বিএনপির দাবি হলো সব মানি তবে তালগাছ আমার। এ ছাড়া তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের চলমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল।

বর্তমানে তা সমাধান হয়েছে। তিনি গতকাল দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের আধুনিকায়নের নতুন অভিযাত্রার উদ্বোধন শেষে সদর হাসপাতাল স্টাফ নার্স মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সর্বশেষ খবর