রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিস্তা পানি চুক্তি অবিলম্বে করার প্রস্তাব কংগ্রেসের

গৌতম লাহিড়ী, নয়াদিল্লি

ভারতে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় কংগ্রেস তাদের ৮৫তম মহাঅধিবেশনে অবিলম্বে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সই করার দাবি জানিয়েছে। সোনিয়া গান্ধী, রাহুল, প্রিয়াঙ্কাসহ কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের উপস্থিতিতে যে আন্তর্জাতিক প্রস্তাব পেশ করা হয় তাতে এ দাবি রয়েছে। ছত্তিশগড় রাজ্যের রাজধানী রায়পুরে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠান চলবে রবিবার (আজ) পর্যন্ত। এতে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ১৮০০ প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। মহাঅধিবেশনে আগামী লোকসভা ভোটের রণনীতি তৈরি করা হবে। আন্তর্জাতিক প্রস্তাবে একটি অনুচ্ছেদ রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে। এতে বলা হয়েছে, ‘নদীর পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তিসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান করা হোক।’ উল্লেখ্য, ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রথম ঢাকা সফরের সময়ে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি করতে চেয়েছিলেন। শেষ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তিতে করা যায়নি। তারপর থেকেই বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। তবে কংগ্রেস দাবি করেছে, ‘দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত স্থল ও সমুদ্র চুক্তি তাদের সময়েই সম্পন্ন হয়েছে।’ নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সংসদ চুক্তিটি অনুমোদন করে। কিন্তু তিস্তা নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ভারত বিজেপি সরকারের আমলে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশীদের আস্থা হারিয়েছে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক কেবলমাত্র দেওয়া-নেওয়ার ভিত্তিতে তৈরি হয় না। বরং প্রতিবেশী দেশের আকাক্সক্ষা রূপায়ণ করাও প্রধান লক্ষ্য। এই সম্পর্ক তৈরি হয় স্বচ্ছতা, পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস, একে অপরকে মর্যাদা দেওয়া এবং সহযোগিতার মাধ্যমে। মহাঅধিবেশনে স্মরণ করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে। তিনি যেভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সমর্থন করেছেন তা অনুসরণ করে পরবর্তী সব সরকার বাংলাদেশের প্রগতিতে সহযোগিতা করেছে এবং স্থায়িত্ব বজায় রাখতে উদ্যোগ নিয়েছে। এও বলা হয়, সুষমভাবে উভয়ের পক্ষে লাভবান হয় এমন আর্থিক সংযোগ তৈরি করা প্রয়োজন। এনআরসি ও সিএএর নাম না নিয়ে প্রস্তাবে বলা হয়েছে, কেবলমাত্র কূটনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধি নয়, দেশীয় নীতিগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে হচ্ছে তাও এক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব নীতির ওপর প্রতিবেশী দেশ নজর রাখে যাতে সেই দেশে কোনো প্রভাব না পড়ে।

 

সর্বশেষ খবর